কালীগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রোর X-রে মেশিন দুই মাস যাবত বিকল প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো আর্থিকভাবে লাভবান

লোকমান হোসেন পনির, কালীগঞ্জ (গাজীপুর)

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রোর এক্রা-রে মেশিন দুই মাস যাবত বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাসপাতালে আসা হতদরিদ্র রোগীরা এক্রা-রে মেশিন বিকল থাকায় প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে তারা অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে এক্রা-রে করতে হচ্ছে। প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো আর্থিকভাবে লাভবান হলেও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তর শিকার হচ্ছে সাধারন রোগীরা।
গতকাল রোববার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক্রা-রে রুমের সামনে সেবার জন্য রোগীরা দাঁড়িয়ে রয়েছে। অনেক চিকিৎসক রোগীদের জানিয়ে দিচ্ছেন হাসপাতালের এক্রা-রে মেশিনটি নষ্ট রয়েছে। x-রে করতে হলে বাইরে প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে করে আনতে হবে। সোবাহান নামে এক রাজমিন্ত্রি কাজ করতে গিয়ে মাথা আর ঘাড়ে আঘাত পায়। গতকাল জামালপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে এসেছে হাসপাতালে।

চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে এক্রা-রে করার জন্য লেখে দিলে সে বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে x-রে করে নিয়ে আসে। হাসপাতালের এক্রা-রে বিকল হওয়ায় প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো লাভবান হচ্ছে। রোগীরা হাসপাতাল থেকে অল্প টাকায় এক্রা-রে করতে পারলেও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো দ্বিগুন থেকে তিনগুণ টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রতিদিন ২৫-৩০ জন রোগী এক্রা-রের সেবা পেতো। পাশাপাশি হাসপাতাল আর্থিকভাবে লাভবান হতো। এক্রা-রে বিকলের ফলে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রোগীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হচ্ছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ছাদেকুর রহমান আকন্দ বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রæত মেরামতের চেষ্টা হচ্ছে।

রোগীরা এক্রা-রের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে তিনি তা স্বীকার করেন। গাজীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. সৈয়দ মঞ্জুরুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রোর এক্রা-রে মেরামতের জন্য সফটওয়ার কোম্পানীকে দুইবার চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কালক্ষেপণ করছে বলে মেরামত করতে বিলম্ব হচ্ছে। আজও মোবাইল ফোনে তাদের সাথে কথা হয়েছে। তাড়াতাড়ি মেরামত করে দিবে বলে তারা জানিয়েছে।