শার্শা আওয়ামী লীগের প্রার্থীতে নয়া মেরুকরণ
মীর ফারুক যশোর জেলা প্রতিনিধি :
আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, শার্শায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নিয়ে তত শংকা বাড়ছে।কে হবে নৌকার মাঝি,বর্তমান এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, বেনাপোল পৌর মেয়র আসরাফুল আলম লিটন নাকি সাবেক এডিশনাল আইজি আব্দুল মাবুদ,কার হাতে উঠবে নৌকার বৈঠা, গত কয়েক দিন ধরে শার্শার গ্রামগজ্ঞে, হাটে বাজারে চায়ের দোকানে একটিই আলোচনা, আগামী নির্বাচনে কার হাতে উঠবে নৌকার টিকিট,এই নিয়ে চলছে আলাপ আলোচনা বিচার বিশ্লেষণ।
শার্শা আওয়ামী লীগ কয়েক বছর ধরে বর্তমান এমপি শেখ আফিল উদ্দিন ও বেনাপোল পৌর মেয়র আসরাফুল আলম লিটনে নেতৃত্বে দৃশ্যমান দুটি ধারায় বিভক্তি হয়ে দলীয় কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছিলো,তারা দুজনেই আগামী নির্বাচনে দলীয় টিকিট জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে জোর লবিং গ্রুপিং ও প্রচেষ্ঠা চালিয়ে আসছে,তখনও আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মিদের বৃহৎ অংশ মনে করতো বেনাপোল পৌর মেয়র আসরাফুল আলম লিটন যত চেষ্টা করুক এবার সে মনোনয়ন পাবে না,তৃতীয় বারে মত দলের টিকিট পাবেন শেখ আফিল উদ্দিন এমপি।
কিন্তু ০৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে খুলনা বিভাগীয় তৃনমূল নেতাকর্মিদের সাথে মতবিনিময় করেন,এবং আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তৃনমূল নেতাদের কর্মপরিকল্পনা ও দলের ভিতরে বিভেদ ভুলে এক্যবদ্ধ থাকতে নির্দেশ দেন।
ঠিক তার পরের দিন ০৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী আস্তাভাজন হিসাবে পরিচিত পুলিশের সাবেক এডিশনাল আইজি আব্দুল মাবুদ শার্শায় এসে বিভিন্ন ইউনিয়ন, স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা হাটেবাজারে গণসংযোগে শুরু করে।গণসংযোগ এর আব্দুল মাবুদ এর কথাবার্তা, সততা পরায়নতা,ইসলামী জ্ঞানে মানুষ মুগ্ধ হচ্ছে, এর ফলে পাল্টে যায় শার্শার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দৃশ্যপট। শার্শায় দলীর প্রার্থী নিয়ে শুরু হয় নয়া মেরুকরণ।মানুষের আলোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে আব্দুল মাবুদ।তাকে নিয়ে আওয়ামী লীগের একটি অংশ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।
বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়,এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের অনুসারি কর্মিদের হাতে যে সকল নিজ দলের কর্মি নির্যাতন ও নিহত হয়েছেন, সে সকল নির্যাতিত পরিবার ও শার্শা প্রবীণ আওয়ামী লীগের নেতারা আব্দুল মাবুদ কে প্রার্থী হিসাবে পছন্দ করেছেন।
শার্শা আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে নেতৃবৃন্দের মাঝে চরম বিভক্তি থাকলেও শার্শা আওয়ামী লীগের সাধারন নেতাকর্মিরা সবাই নৌকা পক্ষে এক্যবদ্ধ, নৌকার টিকিট যিনি পাবেন তার পক্ষে কাজ করবে দলের বৃহৎ অংশ,শার্শা আওয়ামী লীগের সাধারন নেতাকর্মিদের সাথে কথা বলে এমন মনোভার পাওয়া যায়।
তবে ক্ষণে ক্ষণে রং বদল করা রাজনৈতিক শেষ কথা বলে কিছু নেই, শার্শার নৌকার টিকিট শেষ পর্যন্ত কার হাতে ওঠে তা দেখতে আরো কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে শার্শা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মিদের।