মাওয়া ঘাটে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি
শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ফেরিতে ওঠা-নামা প্রত্যেক স্তরেই রয়েছে সক্রিয় চাঁদাবাজ। পরিবহন ভেদে চাঁদা দিতে হয় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। চালকদের অভিযোগ, এসব পরিবহন থেকে ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা আদায়ে জড়িত রয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ, আনসার ও কিছু দালাল চক্র। কর্তৃপক্ষ বলছে, দায়ভার বিআইডব্লিউটিএর নয়, বিআইডব্লিউটিসির।
মাওয়া ফেরিঘাটের পার্কিং এটি। কয়েক হাজার গাড়ির জটলা। কেন এতো জটলা জানতে চাইলে এক চালক জানান, পুলিশ, লাইনম্যানকে চাঁদা দেয়া ছাড়া কোন গাড়ি ফেরিতে উঠতে পারে না। এর জন্য দিতে হয় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা।
সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা এক ট্রাক চালক বলেন, 'দুই হাজার, তিন হাজার টাকা..., যারা কাছ থেকে যা পারছে নিচ্ছে। আমরা সিরিয়াল ধরে বসে আছি আর তারা এসে টাকা দিয়ে চলে যাচ্ছে।'
এবার ঘটনা স্বচক্ষে দেখতে আমরা হাজির হই মাওয়া ফেরিঘাটের ২ নম্বর ঘাটে। প্রত্যেকটি পরিবহন থেকে চাঁদা নিচ্ছে একজন। যা তাদের কাছে সালামি বা বখশিশ হিসেবে পরিচিত। জানা গেছে, ভাগ-বাটোয়ারায় জড়িত এখানকার কর্মকর্তা, পুলিশ ও লাইনম্যান। যা আদায় করেন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা।
কিসের জন্য টাকা তুলছেন জানতে চাইলে ওই ছেলেটি বলেন, 'গাড়ি উঠা-নামা করে। তারা খুশি হয়ে দিচ্ছে।'
তিন নম্বর ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা গেল আটশ' টাকার টিকেটের জন্য দিতে হয় ১ হাজার থেকে ১১শ' টাকা।
নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করার সময় ক্যামেরার সামনে টাকাসহ হাতেনাতে ধরা পড়েন বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্তা।
সময় টিভির উপস্থিতি টের পেয়ে একপর্যায়ে ঘাট এলাকা থেকে পালিয়ে যান এখানকার চাঁদাবাজসহ ঘাটের ব্যবস্থাপক।
মাওয়া ফেরিঘাটে প্রতিনিয়ত ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চালকদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ২০০ এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত চাঁদা না দিলে ফেরিতেই উঠতে পারছে না সময় মতো।