দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ হেফাজতে এক জনের মৃত্যু থানা ঘেরাও, রাস্তা অবরোধ চলে ৫ টা পর্যন্ত
দেবীগঞ্জ(পঞ্চগড়) প্রতিনিধি ।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ হেফাজতখানায় মিলন (২২) নামের এক জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবী সে হাজত খানার বাথরুমে কম্বল দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করেছে। তবে পরিবারের দাবী পুলিশ তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।
সোমবার সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানায় এ ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে দেবীগঞ্জ উপজেলার থানা পাড়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে হাসানুর রহমান মিলন (২২)কে মাদকসহ তার বাড়ি থেকে আটক করে থানা নিয়ে আসা হয়। মিলন মাদক মামলার আসামি তার বিরুদ্ধে রাতে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আরোও জানায় সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাজতখানায় জীবিত অবস্থায় ছিলো। এর পর বাথরুমে ফাঁস লাগা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
সোমবার দুপুরে থানার পুলিশ হেফাজতখানার বাথরুম থেকে দেবীগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট্র সৈয়দ মাহমুদ হাসান এর উপস্থিতিতে পুলিশ মিলনের ঝুলন্ত লাশ নামায়। তার লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।
এদিকে স্থানীয় জনতা মিলনের মৃত্যতে থানার সামনে বিক্ষোভ করেন এবং প্রায় ৩ ঘন্টা অর্থাৎ ২.৩০ মিনিট থেকে ৫.৩০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখে। স্থানীয়দের থানা অবরোধ করায় পুলিশ থানার পেছন দিক দিয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড়ে নিয়ে যায়। পরিবারকে লাশ দেখতে না দেওয়ায় ওই গ্রামের শতাধিক নারী-পুরুষ রাস্তা অবরোধ করে রাখে।
সৈয়দ মাহমুদ হাসান, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট্র,দেবীগঞ্জ ,পঞ্চগড় ঃ প্রার্থমিক সুরত হাল সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি আরোও জানান থানা হাজতের বাথরুমে কম্বল পেঁচিয়ে আতœহত্যার সুরত হাল করেছি। লাশ ময়না তদন্ত করার জন্য পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে । পরবর্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
মোঃ আমিনুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ,দেবীগঞ্জ থানা,পঞ্চগড় ঃ মিলন মাদক মামলার এক জন আসামী। তাকে আমরা মাদকসহ তার বাড়ি থেকে আটক করি। সে থানা হাজতখানায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করে। মিলনের বাবা হবিবর রহমান জানায়, মিলন ঢাকায় কাঠমিস্ত্রিও কাজ করে। গত ১৬ আগষ্ঠ সে ইদ করার জন্য বাড়িতে এসেছে। গতকাল বারিবারিক বিষয়ে ঝগড়া হলে মিলনকে থামাতে পুলিশের নিকট সোর্পদ করি। পুলিশ হেফাজতে মিলন মারা যাবে এ জন্য তাকে পুলিশে দেই নাই, এটি তার পিতা হবিবুর ও মা হাছনা বেগমের অভিযোগ। মিলন কোন নেশার সাথে জড়িত নয় বলে তার বাবা-মা জানান।