কোনো ধরণের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি রুটের স্পিডবোট
কোনো ধরণের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি রুটের স্পিডবোট চলাচল। যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ইচ্ছেমতো ভাড়া। প্রতিনিয়তই ঘাট শ্রমিকদের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। প্রকাশ্যে এমন অনিয়ম হলেও বিআইডব্লিউটিএ বলছে কিছুই জানে না তারা।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ প্রতিদিনই নদী পারাপারে মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাট ব্যবহার করেন। কেউ ফেরি, লঞ্চ কেউবা আবার সি-বোট। বিশেষ করে দ্রুত যাতায়াত করতে অনেকেই শিমুলিয়া ঘাট থেকে শরীয়তপুরের নড়িয়া, মাঝিকান্দি, মাদারীপুরের শিবচর যেতে স্পিডবোটে পারাপার হন।
তবে এই বোটের টিকেটের গায়ে ভাড়া নির্ধারণ করা নেই। কেন ভাড়া নির্ধারণ করা নেই জানতে চাইলে, এটাই নিয়ম বলে দাবি তাদের। তবে উল্টোকথা বলছেন ঘাট ইজারাদার ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন। তিনি জানান, টিকেটের গায়ে নাকি ভাড়া নির্ধারণ করা ছিল আগে থেকেই।
তিনি বলেন, ভাড়া উল্লেখ থাকা উচিত। এমন ঘটনা হয়ে থাকলে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
অভিযোগ রয়েছে, নিজের একক ক্ষমতাবলে দীর্ঘদিন ধরে ঘাট নিয়ন্ত্রণ করছেন আশরাফ চেয়ারম্যান। ভাড়া নিয়ে প্রশ্ন করলে হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের।
বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএকে অবগত করলে, নিজে জানেন না বলে অন্যের ঘাড়ে দায়িত্ব চাপিয়ে দেন বিআইডব্লিউটিএ’র মাওয়া ঘাটের উপ-পরিচালক আসগর আলী।
তিনি বলেন, তারা ভাড়া বেশি নিচ্ছেন কিনা সেটা আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়টি নজরদারির দায়িত্ব বিআইডব্লিউটিসি’র।