ঘটনার চার বছর পর ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনের দাবি
ঘটনার চার বছর পর ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনের দাবি করছে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। জেএমবির পুরানো এবং নতুন দুই অংশের নয়জন সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তবে কবে নাগাদ মামলার চার্জশিট জমা দেয়া সম্ভব হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না সিআইডি কর্মকর্তারা। এদিকে ফারুকীর পরিবার বলছে, যেনতেন কাউকে নয় প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার করে যেনো দ্রুত চার্জশিট দেয়া হয়।
টেলিভিশন উপস্থাপক ও ইসলামী চিন্তাবিদ নূরুল ইসলাম ফারুকী হত্যার চার বছর পর ঘটনার রহস্যের জট খোলার দাবি সিআইডির। তারা বলছে, জেএমবির নতুন এবং পুরানো ধারার নয় জন সদস্য এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
হলি আর্টিজান মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হাদিসুর রহমান সাগর এই হত্যার দায় স্বীকার করে আদালাতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ বলছে, ফারুকী হত্যা মিশনের মূল পরিবল্পনাকারী ছিলো জেএমবির ঢাকা অঞ্চলের আমির তাসনিম।
আর হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করে জামাই ফারুকসহ মোট তিনজন। এছাড়া কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত সারোয়ার জাহান মানিকও এই হত্যার সঙ্গে জড়িত। মূলত ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখ্যা নিয়ে মত বিরোধের কারণেই ফারুকীকে হত্যা করা হয় বলে জানায় সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসালাম।
অভিযুক্ত নয়জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছে চারজন। বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে একজন। এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি চারজনকে।
নিহতের পরিবার বলছে, চারবছর পর হত্যার মোটিভ বের হয়ে আসাকে তারা দেখছেন ইতিবাচক হিসেবেই। তবে মূল আসামি চিহ্নিত করে দ্রুত চার্জশিট চান তারা।
নূরুল ইসলাম ফারুকীর ছেলে রেজা ফারুকী বলেন, 'সিআইডিকে বলেছি আমাদের কাছে ৪ জন সাক্ষী আছে তাদেরকে দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে চার্জশিটটা দ্রুত দেবার জন্য আমরা বলেছি।'
২০১৪ সালের ২৭শে আগস্ট রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় ঢুকে গলাকেটে হত্যা করা হয় নূরুল ইসলাম ফারুকীকে।