জামালগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের দায়ীত্বে থাকা কর্মকর্তার অবহেলায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ
জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের দায়ীত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের চরম অবহেলায় বিদ্যুতের খুঁটির টানা তারে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে স্কুল ছাত্র মোঃ শাবেজ মিয়ার মর্মন্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুৎ পৃষ্ঠে নিহত শাবেজ মিয়া উপজেলার জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের বেতাল আলীপুর গ্রামের দিন মজুর মো: শামছুল হকের ছেলে।
সে জামালগঞ্জ সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।এঘটনায় শাবেজের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পুত্র হারিয়ে শাবেজের দিন মজুর মা-বাবা বাকরোদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
গ্রাম বাসী ও তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,গত ৬সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার আনুমানিক বেলা ১১ঘটিকায় শাবেজ মিয়া তার গ্রামের বাড়িতে ছোট নৌকা নিয়ে তাদের বাড়ির পাশের নিজস্ব একটি ছোট ডোবায় মাছ থাকার জন্য বাস-কাঁঠা দিতে যায়। দিন গড়িয়ে বিকেল হলেও শাবেজ ঘরে ফিরছেনা দেখে ঘরের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে।
গ্রামের কোন বাড়িতে তার সন্ধান না পেয়ে বাড়ির পাশের ডোবায় তাদের ছোট নৌকাটি বিদ্যুতের খঁটির পাশে দেখে লোকজনের মনে সন্ধেহ জাগে। গ্রামের লোকজন নিয়ে তার বড় ভাই কোমর পানি ভেঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটির কাছে নৌকা ধরতে গেলে তাকে বিদ্যুৎ শক করে। আহত অবস্থায় লোকজন শাবেজের বড় ভাইকে উদ্ধার করে জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন।
এ ঘটনায় নিহতের অপর আবার নৌকার কাছে যেতে চাইলে তিনিও বিদ্যুতের শকে আহত হলে তাকেও গ্রামবাসী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দিয়ে জামালগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দেন। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা সময় ক্ষেপন করে ওই গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করলে গ্রমবাসী বিদ্যুতের খুঁটির টানা তারের কাছে পানিতে নেমে শাবেজ কে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
গ্রামের কয়েক জন ও স্থানীয় পল্লী বিদ্যুতের লোকজন গিয়ে ঘঠনা ধামাচাপা দিয়ে রাতেই লাশ দাফন করে বলে জানা গেছে। ঘঠনাটি ব্যাপক ভাবে জানা জানি হলে এলাকার ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। নিহতের বড় দুই ভাই এখনো জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকলেও বিদ্যুৎ বিভাগের কোন লোকজন তাদের খোঁজ খবর নেননি বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে নিহতের স্কুলের সহপাঠিসহ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জেনে চরম ক্ষোব্ধ অবস্থায় রয়েছে। গতকাল রবিবার বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশে প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের নিয়ে মৃতের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়র পর তাদের কে শান্ত থাকতে বলেন। এছাড়াও জামালগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত বিভাগের লোকজনের উপর দায়িত অবহেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে জামালগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দায়ত্বে থাকা কামরুল ইসলাম কে ফোন দিলে তিনি প্রথমে জানান এধরণের কোন সত্যতা পাওয়া যায় নি। পরক্ষনে তিনি বলেন তাদের কে কিছু আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়েছে। কেন তাদের কে আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়েছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন হেড কোয়াটার থেকে লোকজন এসে শিরন্নি করার জন্য দিয়েছে। কত টাকা দেয়া হয়েছে তা তিনি জানেন না বলেও জানান। সত্যতা পাওয়া যানী বলেও টাকা দিলেন কেন এমন প্রশ্নে তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন অফিসে এসে কথা বলেন,ফোনে বলবনা না। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আল ইমরান বলেন,অমি বিষয়টি জেনেছি। শিক্ষার্থীর মৃত্যু বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবো।