৩ লক্ষ টাকা আত্মসাত মামলায় ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কারাগারে
এম এ লিংকন ,মেহেরপুর
প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ মামলায় গাংনীর ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমানকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে মেহেরপুর প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ হাদিউজ্জামান তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আদালতে আসামী ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমানের পক্ষের আইনজীবি সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী জামিনের আবেদন করলে জামিন না দিয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক। গাংনী উপজেলার কাথুলি ইউনিয়নের কুঠি ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিয়ারুল ইসলাম (মুকুল) বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে তিন লক্ষ ৫৫ হাজার ৬০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।
গাংনী থানার পিটিশন মামলা নং ৮/১৬ ইং। ধারা ৪০৯ প্যানাল কোড তৎসহ দূর্ণীতি দমণ আইন ১৯৪৭ এর ৫(গ) ধারায় মামলাটি রুজ্জু হয়। দীর্ঘদিন তদন্ত করার পর গাংনী থানার সেকেন্ড অফিসার সুভাষ চন্দ্র দাস সা¤প্রতিক সময়ে মামলাটির চার্জশীট দাখিল করেন। এ মামলায় প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
এসময় বাদী ও আসামী পক্ষের আইনজীবিদের মধ্যে জেরার পর বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মোঃ হাদিউজ্জামান তাকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবি রয়েছেন জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম ও আসামী পক্ষে রয়েছেন সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী।
মামলার বাদী ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি জিয়ারুল ইসলাম (মুকুল) জানান, প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান বিদ্যালয়ের অর্থ তছরুপাত ও স্বেচ্ছারিতার কারনে মামলাটি করা হয়েছিল। এদিকে জানা গেছে, সা¤প্রতিক সময়ে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ ২০১৫, ১৬ ও ১৭ অর্থ বছরের বিদ্যালয়ের আয় থেকে শিক্ষকদের মাত্র ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা বেতন দিয়ে বাকি টাকা প্রধান শিক্ষক কর্তৃক আত্মসাৎ হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছেন
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ কমিটি ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন। জানা গেছে, মশিউর রহমান বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে সহকারী শিক্ষকদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। স্বেচ্ছাচারিতার কারনে তার সহকারী শিক্ষকরা তার বিরুদ্ধে অনস্থা নিয়ে এসে পদ ত্যাগের দাবী করেছিল। স্বেচ্চাচারিতা ও দূর্ণীতির কারনে বেশ কয়েকবার সে বরখাস্ত হয়েছিল।