ভাঙন আতঙ্ক থাকায় ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
পদ্মার স্রোত কমায় শরীয়তপুরে ভাঙন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, ভাঙন আতঙ্ক থাকায় ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় দাম বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। সর্বস্ব হারানো কয়েক হাজার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আপদকালীন ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
টানা ৩ মাস সর্বগ্রাসী তাণ্ডব চালিয়ে কিছুটা শান্ত পদ্মা। মূল স্রোতটি নদীর মাঝখানে সরে যাওয়ায় কমেছে স্রোতের তীব্রতা। তবে, এখনো রয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। শনিবারও নড়িয়া উপজেলার পূর্ব কেদারপুর গ্রামের ৫টি বাড়ি গিলে খেয়েছে সর্বনাশা পদ্মা। তাইতো সাজানো ঘর-বাড়ি ভেঙে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন নদী তীরবর্তী মানুষ।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ জানান, ব্যবসায় করে বিল্ডিং তৈরি করেছি। সেই সঙ্গে একটি দোকান তৈরি করেছি; সব নদীতে চলে গেছে। এলাকায় কোজ নেই, কি করে খাবো। কেমনে চলবো।
শরীয়তপুর নড়িয়ার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমান হোসেন দেওয়ার বলেন, আমাদের জায়গা জমি যা চলে গেছে, তা মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে। ভাঙনের কবলে পড়ে রাস্তাঘাট, লঞ্চঘাট বিলীন হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এতে চাহিদা মতো পণ্যের যোগান না থাকায় দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুন।
সাধারণ মানুষ জানান, এখানে নিত্যপূণ্য জিনিসের দাম অনেক বাড়তি। পূর্বে এখানে এমন ছিল। আর ব্যবসায়ীরা জানান, হাটে লোকজন নেই, আমাদের বেচা-কেনাও নেই। রাস্তা-ঘাট নেই, মালামাল নিয়ে আসা যাচ্ছে না।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন চন্দ্র বলেন, নদীর মাঝখান নিয়ে স্রোত যাচ্ছে। যে কারণে নদীর তীরে ভাঙন কমে যাচ্ছে। তবে, আমাদের বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলার কাজ অব্যাহত থাকবে।
চলতি বছরে পদ্মার ভাঙনে নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলায় হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দির, রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়েছে। বসত-ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে প্রায় সাত হাজার পরিবার।