নওগাঁয় অজ্ঞাত রোগে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শত শত বিঘা জমির রোপা আমন ধান।
নওগাঁয় অজ্ঞাত রোগে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শত শত বিঘা জমির রোপা আমন ধান। কৃষকরা জানান, ধানের পাতা হলুদ হয়ে আস্তে আস্তে পচে যাচ্ছে। বিভিন্ন বালাই নাশক ব্যবহার করেও কোন কাজ হচ্ছে না। কৃষি বিভাগ বলছে, আক্রান্ত ধানের নমুনা সংগ্রহ করে রোগ নির্ণয়ের চেষ্টা চলছে।
ধানের হলুদ পাতা দুর থেকে দেখলে মনে হবে ধান পেকে গেছে। হলুদ পাতায় বিবর্ণ ধানে অজ্ঞাত এক মড়ক লেগে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মাঠের পর মাঠের ফসল। গত দু মাস আগে লাগানো হয় রোপা আমন ধান। ধানের বাড়ন্ত পাতাগুলো হলুদ হয়ে আস্তে আস্তে নিচে নেমে পচে যাচ্ছে। ধানের এমন রোগ ভয়াবহ আকারে দেখা দিয়েছে জেলার রানী নগর, মহাদেবপুর, আত্রাই নওগাঁ সদরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায়।
ক্ষতিগ্রস্ত একজন কৃষক বলেন, প্রথমত ধানটা হলুদ হয়ে যাচ্ছে, হওয়ার পর আস্তে আস্তে মরে পরে যাছে। ওষুধ দিয়েই ঠিক হচ্ছে না।'
এদিকে ধানের এমন রোগকে পূঁজি করে জেলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রান্তিক পর্যায়ের কীটনাশক ব্যবসায়ীরা। দোকানিরা বলছেন, কীটনাশকে কাজ না হওয়ায় তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
একজন কীটনাশক ব্যবসায়ী বলেন, এত রকমের ওষুধ দিচ্ছি, কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। এটা আসলে কি হবে জানি না। আবহাওয়ার সঙ্গে ওষুধ যাচ্ছে না।'
এ অবস্থায় অজ্ঞাত রোগে নষ্ট হয়ে যাওয়া ধান উঠিয়ে আবারো নতুন করে রোপন করছে অনেক কৃষক ।
অবশ্য কৃষি বিভাগ আক্রান্ত ধানের নমুনা সংগ্রহ করে রোগ নির্ণয়ের জন্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শস্য অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ড. মো: আব্দুল আজিজ বলেন, 'যেহেতু তারা বিজ্ঞানী দেখি তারা কি বলে। আমরা নজরদারি রাখছি। ফলনের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না।'
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় দু লাখ ২ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির ধানে রোগ আক্রান্ত দেখানো হয়েছে ।