চুৃয়াডাঙ্গার গিরিশনগরের সুভাষ হত্যার প্রতিবাদে গিরিশনগরে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ।
মোঃমাহফুজ আলম
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুহদ ইউনিয়নের ৬৩আড়িয়ার শ্রী গনেশচন্দ্র সাদু খা এর ছেলে সুভাষ সাধু খাঁর হত্যাকারীদে দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন।
এ মানববন্ধনে অংশ নেয় এলাকার সুধীমহল গিরিশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ। সুভাষ হত্যার ৪দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করে আইনের আওতায় আনতে না পাড়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। গত কাল রবিবার সকাল ১১টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গিরিশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৭০০ ছাত্র ছাত্রী ও এলাকাবাসী একটি মানববন্ধন র্যালি বের করা হয়।
এ মানববন্ধনের মাধ্যমে সুভাষের হত্যারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবীও ৭দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে মানব্বন্ধনকারীরা। এই ৭ দিনের মধ্যে যদি হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করে শাস্তির আওতায় না আনতে পারে তাহলে পুরো জেলা জুড়ে মানববন্ধন করার হুশিয়ারী দেন মানববন্ধনকারীরা।
সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশীদের উপস্থাপনায় এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, গিরিশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হায়দার মন্ডল, ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার নুরু জামান, তিতুদহ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই সোলাইমান হক, ক্যাম্প কনেস্টেবল বতেন আলী, নিহত সুভাষের বাবা গণেশ চন্দ্র সাধু খাঁ, মা নিলীতা রাণী, চাচাতো ভাই সবুজ কুমার সাধু খাঁ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক/শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দও এলাকাবাসী।এ নিয়ে চুৃয়াডাঙ্গা সদর থানার এস আই ও তিতুদহ পুলিস ক্যামপ ইনচার্য সকালের খোজখবরের প্রতিনিধিকে জানান,যে খুব দ্রুত আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে বিচারের ব্যাবসতা করার প্রচেষ্টা চলছে ও আসামি ধরার জন্য।
ও আরও জানান যেহেতু হত্যা ঘটনার মোটিভ অস্পষ্ট, সেকারনে নানাদিক মাথায় রেখে হত্যার সঠিক কারণ বের করতে পুলিশের একটি তদন্ত টিম মাঠে নেমেছে। এ টিমের দায়িত্ব প্রধান তদন্ত কমিশনার আবদুল খালেক। কিন্তু সুভাষ হত্যার ৪দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পরিবার ও এলাকাবাসীর একটাই দাবি দ্রুত সুভাষের হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের মাধ্যমে এনে কঠিন বিচার ও ফাঁসি দেওয়া হোক।