গাংনীতে পুলিশ কর্তৃক নির্দোষ ছেলেকে তুলে নিয়ে মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে মা’এর সংবাদ সম্মেলন
মেহেরপুর প্রতিনিধি
গত সোমবার রাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদী গ্রামের খুশির দিঘির পাড়া থেকে মৃত আফেল উদ্দিনের ছেলে আঃ হান্নানকে গাংনী থানা পুলিশ কর্তৃক আটক করে পরে অস্ত্র ও মাদক মামলায় চালান দেওয়ার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিচার দাবি করে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে খুশির দিঘিরপাড়া মোড়ে গ্রেফতারকৃত আঃ হান্নানের মা আলেয়া খাতুন তার স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের জানান, আমি স্বামী হারা একজন বৃদ্ধ মহিলা ঐ সন্তানকে নিয়ে থাকি এবং আমার সন্তান আঃ হান্নান হার্ডওয়ার সামগ্রীর ব্যাবসা করে আসছে। গত সোমবার (১৯-১১-২০১৮ ইং) রাত নয়টার দিকে স্থানীয় হাফিজের দোকানে চা খাওয়া অবস্থায় অনেক লোকের মাঝ থেকে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই মকবুল হোসেন তুলে নিয়ে যায়।
বামন্দী ক্যাম্প ইনচার্জ মকবুল হোসেন সহ গাংনী থানায় যোগাযোগ করা হলেও রাতে তারা গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করে। বৃদ্ধা মহিলা সাংবাদিকদের আরো জানান, আমার ছেলেকে তারা কোথায় রেখেছে জানতে চাইলে পুলিশ কোন খোঁজ দেয়নি। পরের দিন বেলা বারোটার দিকে গাংনী থানায় খোঁজ নিলে দেখা যায় সেখানে আঃ হান্নানকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে। বৃদ্ধা মহিলা মনে করেন, তার গ্রামের কিছু মাদক ব্যাবসায়ী সাহারুল, টিপু ও শরিফের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এমন কাজ করা হয়েছে।
কারণ হিসেবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিগত কয়েকদিন আগে ঐ গ্রামের আমির হোসেন এর ছেলে সাহারুল গাজা সহ ধরা পড়লে তাকে ছেড়ে দিয়ে শুধু গাজা ও গাড়ি সেখান থেকে নিয়ে যায়। বৃদ্ধা সাংবাদিকদের জানান, তাদের দেওয়া ঐ গাজা ও অস্ত্র সহ তার ছেলেকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে। এসকল বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি তার নির্দোষ ছেলের মুক্তি দাবি করেছেন।
আঃ হান্নানের মুক্তির দাবিতে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্য পাঠ করার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোশারোফ হোসেন, সিরাজুল হক,মোফাজ্জেল , মোঃ মোরাদ আলী ও মিজান সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিৎ ছিলেন। এদিকে স্থানীয়রা জানান, গ্রেফতার হওয়া আঃ হান্নান তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এবং একজন সৎ ব্যাবসায়ী তার বিরুদ্ধে থানা কেন গ্রামের কেউ কোন অভিযোগ দিতে পারবেনা।
স্থানীয়রা আরো জানান, পুলিশ যদি বিনা দোষে কাউকে সবার সামনে এভাবে খালি হাতে তুলে নিয়ে তাকে অস্ত্র ও মাদক ব্যাবসায়ী বানিয়ে চালান দেয় তাহলে সাধারন মানুষ কোথায় যাবে। স্থানীয়রা তার মুক্তি দাবি করেন এবং আগামীতে যাতে নিরপরাধ মানুষকে পুলিশ কোন প্রকার হয়রানি না করে এবং প্রকৃত দোষী ব্যাক্তিদেরই আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করা হোক।