পতনী তলায় আমণের বাম্পার ফলন দাম কম হওয়াই হতাশ কৃষকেরা !
মাসুদ রানা,পতনী তলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :
শষ্যভান্ডার খ্যাত নওগাঁর উত্তরের উপজেলা পতনী তলায় এবার রোপা আমন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী চাষাবাদ হয়েছে, ফলনও বাম্পার হয়েছে । পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে আমন ধান কাটামাড়ই া , বিস্তৃত দিগন্ত জুড়ে ফসলের মাঠে সোনালী রংয়ের আমণ ধানের মৌ মৌ গন্ধ , সোনলী ধান ঘরে আসলেও খুশি নয় পতনী তলার কৃষকেরা বিশেষ করে র্বগাচাষীরা । অনেক আশা আর স্বপ্নে বুক বেধেছিল তারা, তবে যে স্বপ্ন আর আশায় বুক বেধেছিল তা আর পুরন হচ্ছে না বাজারে ধানের দাম কম থাকায় ।
গত বছর আমণ ধান কাটার সময় দাম ছিল ৯০০-১০০০ টাকা মণ আর এবার ৬০০-৭০০ টাকা মণ ,একাধিক কৃষক জানায় খরচ বাদ দিয়ে কোন লাভই থাকবে না । প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৭৫০০-৮৫০০ টাকা ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় উপজেলায় ৭০% ধান কাটা শেষ হয়েছে , ৭ দিনের মধ্যেই পুরোদমে ধান কাটা শেষ হবে হবে ,উপজেলায় এবার চাষ হয়েছে র্স্বনা ৫,ব্রি-ধান , কাটারী ,৩৪, ব্রি-ধান ৪৯,ব্রি-ধান ৫১,৫২,৫৬,৬২ ও ব্রি-ধান ৭১ , চিনি আতব জাতের ধান। উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা (নজিপুর )’র রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৪৫ হেক্টর কিন্তু চাষ হয়েছে ২৭৭৮০ হেক্টর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপন হয়েছে ৭৬৩৫ হেক্টর
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, পতনী তলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলার নাদৌড় গ্রামের র্বগাচাষী কৃষক হাবিবুর রহমান জানান ১২ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছিলেন ,র্অধেক ধান কাটা হয়েছে ,ফলন ভাল হয়েছে কিন্তু দাম কম হওয়াই তিনি হতাশ ! জমিওয়ালাকে ধান দেওয়ার পর তার আর কিছুই থাকছেনা , তিনি আরও জানান বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে লাভের আশায় আমণ ফসল করেছিলাম এখন লাভ তো দুরের কথা পাওনাদারের টাকা পরিশোধ কি ভাবে করবো তাই চোখে সরিষার ফুল দেখছি ।
একই গ্রামের র্কষক সামসদ্দীন জানান ৬.৫০ বিঘা জমিতে জমিতে র্স্বনা ৫ জাতের ধান চাষ করেছেন , ফলনও ভাল হয়েছে বিঘাপ্রতি ২০-২৮ মণ হয়েছে কিন্তু বাজারে ধানের দাম কম হওয়াই কোন রকম খরচ উঠতে পারে । র্বগাচাষী লোকমান জানান সে ৭ বিঘা জমিতে আমণ চাষ করেছেন ফলন ভাল হলেও ধানের দাম কম হওয়াই জমির মালিক কে ধান দেওয়ার পর কিছুই লাভ থাকবে না ।
হাবিবুর , সামসদ্দীন ও লোকমানের মতো হাজারো কৃষকের অভিযোগ তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্টার্জিত ফসলের নায্য মূল্য দেয়া হোক নয়তো উন্নয়নের বাংলাদেশে কৃষকের ভাগ্যে অবনতি ।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার জানান, এবার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী হয়েছে আমনের চাষাবাদ ফলনও বাম্পার হয়েছে কারন হিসাবে তিনি বলেন গত বন্যায় কৃষকদের ব্যপক ক্ষতি হয়েছিল সেই ক্ষতি পোষিয়ে নিতেই কৃষকেরা ঝুকেছে আমন চাষে সময়মত ও পরিমানমত বৃষ্টিপাত, সার-বীজ-কীটনাশকের প্রাপ্যতা, কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের কর্মতৎপরতা , কৃষি অফিসের উদ্যোগে কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদের উপর প্রশিক্ষণ সঠিক পরার্মশ প্রদান মাঠ পরির্দশন অব্যাহত ছিল , র্বতমানে বাজাওে ধানের দাম কম ,তবে র্কতন মৌসুমের পরে যদি বাজারে দর ভাল থাকে তাহলে কৃষকেরা লাভবান হবে ।