পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিএনপি নেতারা হতাশাজনক বক্তব্য রাখছেন।’ ওবায়দুল কাদের
শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মানুষ যাতে ভোটকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে যেতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষীবাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগও ভোটকেন্দ্র পাহারা দিবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোট কেন্দ্র পাহারা দিব। যাতে জনগণ নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে এবং নিশ্চিন্তে ভোট প্রদান করতে পারে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যখন কেউ লাঠি-সোটা নিয়ে নির্বাচন কেন্দ্রে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করতে চাই না। তখন মানুষ কীভাবে নির্বাচন কেন্দ্রে যাবে। সেজন্য ভোট রক্ষায় আমাদেরও রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্ব রয়েছে। যাতে মানুষ নিরাপদে ভোট প্রদান করতে পারে। জনগণ যেন যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরাও সহযোগিতা করব। শতভাগ প্রতিফলন ঘটবে।’
তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, এবার নির্বাচনের আগে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তার প্রতিফলন নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রেও দেখা যাবে। লম্বা লাইন দেখা যাবে। বিপুল সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি এবারের নির্বাচন হবে। অতীতে দেখা গেছে, কোনো কোনো ভোটকেন্দ্র ভোটার শূন্য ছিল। এবার যেসব দেখা যাবে না। এবার উৎসবমুখর নির্বাচন হবে। আমাদের যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার আমরা করব।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যে, আমরাই জিতব। আমাদের জয়ের ব্যাপারে কোনাে সন্দেহ নেই। আমরা বিশ্বাস করি, বিজয়ের মাসে নৌকা বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠন করবে। ইনশাআল্লাহ!'
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে তারাই সহিংসতা, বানচাল, নাশকতা করতে চায়, যাদের জয়ের আশা একেবারেই নেই বললে চলে। পরাজয় সুনিশ্চিত জেনেই আসলে বিএনপি নেতাদের কণ্ঠে গেল কয়েকদিন ধরে হতাশার সুর শোনা যাচ্ছে।’
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশেষ করে একজন ব্যারিস্টারের সঙ্গে আরেকজন সংসদ সদস্য প্রার্থী, কেন্দ্রীয় নেতার (বরকত উল্লাহ বুলু) যে ফোনালাপ সেখান থেকেই তাদের হতাশার সত্যিকারের চিত্রটা বুঝতে পারছেন।’
‘তাদের কথোপকথন থেকেই বোঝা যায়, তারা ২০-৩০ টির বেশি আসন পাচ্ছে না। তারাই এটি বলছেন। ২০,২২,৩০ টি আসন। এর মধ্যে সীমাবদ্ধ কিনা আমি জানি না। হয়তো এর থেকে বেশিও পেতে পারে। এটা জনগণের ভোটের যে ফলাফল তাতেই বোঝা যাবে। কিন্তু তিনি (ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ) ২০, ২২টা আসন পাবার কথায় বলেছেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এমন কথা বলে তিনি (ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ) এমন ভাব প্রকাশ করেছেন যে, এই ধরনের নির্বাচন করার কোনো অর্থ হয় না। সেখানে আবার মহাসচিবের (মির্জা ফখরুল) ওপর নাখোশ, অসন্তুষ্ট। এসব কেউ এডিট করে প্রকাশ করেছে, আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ দুইটি কণ্ঠই আমার চেনা। বিশেষ করে, একটি কণ্ঠ।’