শার্শায় ভাল ফলন ও লাভের আশা করছে গম চাষিরা
শহিদুল ইসলাম,বেনাপাল প্রতিনিধি।
অভাবনীয় পুষ্টিগুণ ভরা একটি ফসলের নাম গম। ভাতের পাশাপাশি গমের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। চিকিৎসকরা বলেন, গম দিয়ে তৈরী হয় রুটি, বিস্কুট,কেক সহ নানা রকম খাদ্য। এটি শরীরের জন্য খুব প্রয়াজনীয় একটি খাবার।
গম চাষে একটি লাভ জনক ফষল হলেও বর্তমান সময়ে এ চাষের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা।যে গম দেশের মাঠে ব্যাপক ভাবে চাষ হতো সেই গম চাষের প্রতি অনিহা দেখা দিয়েছে চাষিদের মাঝে। গম চাষে ব্যাপক বিস্তার লাভ করা উৎপাদনশীল ফষলটি আজ চাষের অনুপযােগী হয়ে পড়েছে। এই গমই চাষের মধ্যে দেশে দানা ফষল হিসাবে দ্বিতীয় স্হান অধিকার করে। আর আজ ক্রমেই এই গম চাষে ব্যাপক ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
গত কয়েক বছর পিছনের দিকে লক্ষ করলে আমরা দেখতে পাই গম চাষের ব্লাষ্ট ভাইরাস কতটা ক্ষতি করেছে এই গম চাষে। চলতি বছর যশোরের শার্শা উপজলায় গমের আবাদ হচ্ছে মাত্র ৭ হেক্টর জমিতে। যা বিগত কয়েক বছর আগে এই উপজেলাতে গম চাষ হয়েছে ৫শ হেক্টরের উপরের। যা তারও আগে ১ হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে ছিলো। গম চাষের প্রতি চাষিদের চলতি গম আবাদ এক প্রকার নিরুৎসাহিত করেছেন বলে জানান স্হানীয় কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, যশােরের শার্শা উপজেলায় কৃষি পণ্য উৎপাদন হিসাবে এক সময় বিখ্যাত ছিলাে। বছরের বিভিন্ন সময়ের নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও সব সময় ব্যস্ত থাকতাে কৃষি কাজ। এই উপজেলার চাষিদের চাষযােগ্য ফষলের অন্যতম একটি ফষল হিসাব ছিল এই গমের আবাদ। কি হঠাৎ করেই গত কয়েক বছর ধরেই ব্যাপক ভাটা পড়ে গম চাষে। গমে ক্ষতিকর ব্লাষ্ট ভাইরাস লাগায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়ে এই উপজেলা সহ দেশর বিভিন্ন চাষযােগ্য অঞ্চল।
প্রথম অবস্হায় ক্ষতিটি পুশিয়ে নিয়ে পুনারাই পরের বছর আবারাে গম চাষ করে একই ভাবে আর্থিক ও মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন কৃষককুল। গম চাষে মন্দা ভাবার কারনে এই চাষের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন গম চাষিরা। আর তারপর গম চাষে থেকে এক বারেই বিরত থাকতে অনুরাধ করেন কৃষি বিভাগ। পরপর কয়েক বছর এ চাষে বিরত থাকার পর আবারাে এই উপজেলায় গম চাষ শুরু হয়েছে।
যা হয়েছে তা ১শ শতাংশর মধ্যে ১০ শতাংশরও কম। চলতি গম আবাদে মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং কােন রকম ব্লাষ্ট ভাইরাস না থাকায় গম আবাদে ভালো হয়েছে এবং চাষিরা লাভবান হবে বলে জানান কৃষি বিভাগ পাশাপাশি এখনাে কােন রকম ঝুঁকি না নিয়ে এ বছরও গম চাষিদের নিরুতসাহিত করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
গম চাষিরা জানান,শত বাঁধা বিপত্তি ভয় ও নানাবিধ প্রতিকুলতাকে দুরে ঠেলে আমরা গম চাষ করছি। কােন রকম দুর্যাগ না আসলে আশা করছি ভালাে ফষল ঘরে তুলতে পারবাে পাশাপাশি লাভের মুখ দেখবাে।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সৈাতম কুমার শীল জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। বিগত বছর গম ব্লাষ্ট ভাইরাস লাগার কারনে কৃষকদের গম আবাদ থেকে নিরুতসাহিত করেছি এবং এখনও করেছি যার কারনে চলতি ২০১৯ সাল গমের আবাদ পুরাপুরি ভাবে কম গিয়ে মাত্র ৭ হেক্টর জমিতে কৃষক গমের আবাদ করেছে।
ভাইরাস বর্তমানে এখনও লাগেনি যদি না দেখা দেয় তাহলে আবারাে আগামী বছর থেকে আশা করছি কৃষকরা এ চাষের উপর মনােযাগী হবে। আমি এবং আমার কৃষি বিভাগ সর্বদায় গম চাষিদরেকে সঠিক পরিচর্যা পরামর্শ প্রদান ও সহযাোগীতা করছি। আশা করি এবছরে গমের আবাদ ভাল হবে।