মুরগি পালনে স্বাবলম্বী ও সংসারে সচ্ছলতা এনেছে সিরাজগঞ্জের তিনটি উপজেলা বেকার যবু- ছেলে মেয়েরা
ফারুক আহমেদ
মুরগি পালনে স্বাবলম্বী ও সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছে তিনটি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষিত আধাশিক্ষত বেকার যুব ছেলে/ মেয়েরা।
সিরাগঞ্জের ৩ টি উপজেলা সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় যে, রায়গঞ্জ, তাড়াশ, উল্লাপাড়া উপজেলার। সলঙ্গা থানার আমশড়া, সাতকর্শি, নইপাড়া, মালতিনগর,ধুবিল, বেতুয়া, চুনিয়াখাড়া ঝাউল, চৈত্রহাট, খেইশ্বর কালিকাপুর, খুর্দ্দশিমলা, রহিমাদ, অলিদহ, রৌহদহ, মাহমুদপুর, চকসাদি, কইমাজুরিয়া, জালসুকা।
তাড়াশ উপজেলার ঝুরঝুরি, লক্ষিপুর, মাধাইনগর, সরাপুর বোয়ালিয়া, সোলাপাড়া, দিঘিসগুনা, বিনসাড়া, রানিদিঘি, গুল্টা, মাধুবপুর গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষিত বেকার যবু ছেলে/ মেয়েরা নিজেরা নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়ে ডিলাদের কাছ থেকে অর্থসহ বিভিন্ন সাহায্যে সহযগিতা নিয়ে সোনালি,লেয়ার, ককরেল, ব্রয়লার টার্কি ও বেইজিং হাঁস / মুরগি লালন পালন করে বেকারত্বকে দূরে ঢেলে দিয়ে সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন সিরাজগঞ্জের ৩টি উপজেলার শিক্ষিত/ অশিক্ষিত বেকার ছেলে/ মেয়েরা। সলঙ্গা থানার অামশড়া গ্রামের শিক্ষিত বেকার আব্দুস সামাদ এই প্রতিনিধিকে জানান যে, আমিও এক সময় চাকরির জন্য লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ব্যায় করেছি ।
ধরেছি, এমপি মন্ত্রীসহ অনেক মানুষের হাত- পা জোটেনি আমার ভাগ্যে একটি চাকরী। সর্বশেষে আমি ডিলার ফারুক আহমেদসহ আমার পরিবারের সবার সাহস ও সাহায্য সহযোগিতায় মাত্র ৩০০০০ টাকা দিয়ে একটি ঘর দেয় তারপর ডিলার ফারুক আহমেদের কাছ থেকে ১০০০ সোনালি মুরগির বাচ্চা নেয়। এরপর মুরগির বাচ্চা গুলি ৬০ দিন পরির্চাযা করি। সবখরচ বাদে আমার প্রথমেই ৫৫০০০ হাজার টাকা লাভ হয়। এইভাবেই আব্দুস সামাদ সোনালী মুরগি লালন পালন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। আব্দুস সামাদ এখন ভাল ভাবেই ১০-১১ জন পরিবার লালন পালন করছেন।
সলঙ্গার ডিলার বিশিষ্টি সমাজ সেবক মাসুম বিল্লাহর সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি ২০১৪ সালে IIuc থেকে MBA পাস করার পরে অনেক চাকরি খুঁজা খুজি করে চাকরি না পেয়ে সে দু- চোখে সরিসার ফুল দেখেছিলেন। সে তার পিতা আব্দুল গফুর ও চাচা নূরুল ইসলামের সাথে ব্যবসায়ে যোগদান করে কেএনবি ফিট সোনালি মুরগির খাদ্যর ডিলার সিপ নিয়ে প্রথমে ১০টি খামরি দিয়ে ব্যবসার জাত্রা শুরু করেন।
তার এখন ৩০০ খামারে প্রায় ৩ লক্ষের বেশি সোনালি, লেয়ার ও ব্রয়লারের মত মুরগির বাচ্ছা দেওয়া আছে বলে জানান তিনি। তিতি আরো জানান সিরাজগঞ্জের ৩ টি উপজেলায় প্রায় ৩০-৪০ জন ডিলার আছে তাদের সবমিলে কয়েক হাজার খামারি আছে। ত্রতে প্রায় ৭০-৮০ লক্ষ্য মুরগির বাচ্চা দেওয়া আছে। সলঙ্গার মাসুম বিল্লাহর বর্তমানে ৫-৮ জন কর্মচারি রয়েছে। মাসুম বিল্লাহ সলঙ্গা যবু সমাজের কাছে সত্যিকারের হিরো হিসেবে পরিচিতি হয়েছেন।সিরাজগঞ্জের তিনটি উপজেলার রায়গঞ্জ, তাড়াশ, সলঙ্গার এখন অনেকেই সোনালি, ব্রয়লার, লেয়ার, বেইজিং হাঁস/ মুরগি পালনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
অনুরুপ সলঙ্গা আগরপুরের গ্রামের আরো একজন লেয়ার মুরগির খামারি ছানোয়ার হোসেন( নানুমিয়া) এই প্রতিনিধিকে জানান,বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে বেকার থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী পর্যস্ত বড় খামারের পাশাপাশি অল্প আয়ের মানুষেরা বাড়ির আঙ্গিনায় ছোট ছোট খামার দিয়ে পোল্ট্রি মুরগির খামার গড়ে তুলে লাভবান হচ্ছেন। মুরগির ও ডিমের বর্তমান বাজার ভাল। বর্তমান কৃষি, শিল্প বান্ধব সরকারের কাছে দাবি তিনি যেনু, মুরগির বাচ্চা, ঔষুধ, খাদ্যের দামসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পএের দাম কমিয়ে দিতেন।
তাহলে সমাজ তথা দেশের অনেক বেকারত্ব দূর হয়ে যেতো। আমশড়া গ্রামের পোল্ট্রি খামারী আব্দুর রাজ্জাক জানান যে,সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা,তাড়াশ, রায়গঞ্জের ক্ষুদ্র - মাঝারি -বৃহৎ শিল্পের তথা সম্মিলিত মুরগির ডিলার ও খামারিদের উদ্যোগেই দেশের শিক্ষিত আধাশিক্ষিত যুব ছেলে/ মেয়েদের বেকারোত্ত দূর করা সম্ভব হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিরাগঞ্জের তিনটি উপজেলার বেশ কয়েকটা ইউনিয়নে কয়েক হাজার পোল্ট্রি খামার গড়ে উঠেছে। ওই এলাকার শিক্ষিত, আধা শিক্ষিত বেকার যবুকদের পাশাপাশি কিছু যবুক ওই সকল খামারী গুলি গড়ে তোলেন।
অনেক খামারিদের দাবি যেভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ডিলারেরা পোল্ট্রি খামরিদের ঋণ সুবিধা দেয়াসহ নানাভাবে পৃষ্ঠপোষাকতা করছেন তার সাথে যদি সরকার সল্প সুদে ব্যাংক ঋণ সুবিধা দিতেন তাহলে পোল্ট্রি শিল্প সারা দেশে ছরিয়ে ছিটিয়ে থাকা খামারগুলো উত্তরোত্তর উন্নতি লাভ করতে পরতো। এছাড়া শিক্ষিত/ আধাশিক্ষিত বেকাররা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে মানেবতার জীবন যাপন থেকে মুক্তি পেতো। শেষে মেসার্স আকন্দ ট্রেডাসের মালিক ও কেএনবি ফিডস লিঃ ডিলার জনাব নূরুল ইসলাম তার সফল খামারি তাড়াশ জাহাঙ্গীরগাতি গ্রামের মোঃ আমিরুল ইসলামের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেন। খামারি আব্দুল জলিল মেম্বর, আব্দুল কুদ্দস, ইয়াকুব আলীসহ অনেকেই এই প্রতিনিধিকে জানান যে, আল্লাহুর পরেই আমরা বলবো মেসার্স আকন্দ ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল গফুর ও নূরুল ইসলামসহ সলঙ্গার সব মুরগির ডিলারেরা তিনটি উপজেলার হাজার হাজার শিক্ষিত/ আদাশিক্ষিত বেকার ছেলে / মেদের বেকাত্তর দূরসহ অভিসাব থেকে উদ্দার করে সংসারে সচ্ছলতা এনেদিয়েছেন।