ইউপি সদস্য আলী হোসেনের বিরুদ্ধে বয়স্ক বাতা বিধাব ও প্রতিবন্দী ভাতা কার্ডে টাকা নেওয়ার অভিযোগ
মেহেরপুর প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলী হোসেনের বিরুদ্ধে বয়স্ক ও বিধাব প্রতিবন্দী ভাতা কার্ড দেওয়ার নামে অর্থ নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। আজ রবিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের ৮জন ইউপি সদস্য তার বিরুদ্ধে এই বয়স্ক ভাতার কার্ডে টাকার নেওয়া প্রসঙ্গে নিখিত ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে আলী হোসেন মেম্বর হওয়া পর থেকে বয়স্ক ভাতা,বিধাব,প্রতিবন্দী ভাতা ডেলীভারী কার্ড,মাটি কাটা কাজ বা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠিক যত সুযোগ সুবিধা দিয়াছে তার প্রত্যেকটি সুবিধাভোগীর নিকট হইতে সে টাকা নিয়াছে। সরকারী টিউবয়েল দেওয়ার কথাবলে সে বানিয়াপুকুর গ্রামের মহাতাব আলীর ছেলে মকলেচ আলী,খবির আলীর ছেলে নজির হেসেনে,এরশাদ আলীর ছেলে জিন্নাত আলীসহ প্রায় ৩০জনের নিকট থেকে ৩০০০ হাজার টাকা করে নিয়াছে।
বিধাব,বয়স্ক ভাতা দেওয়ার কথা বলে তিনি বানিয়াপুকুর গ্রামের আমির হেসেনের ছেলে তৈয়ব আলী ও কাষ্টদহ গ্রামের আবু বক্করের ছেলে মোমিন,চিন্তামনি,মজির ,খাজাসহ কমপক্ষে ৬০/৬৫ জন মানুষের কাছ থেকে ৫হাজারের উর্ধে ১০হাজার টাকা নিয়াছে।দরিদ্র অসহায় ফকির মিসকিন মানুষগুলো ভিক্ষা করে ধার করে,সুদের উপর টাকা নিয়ে মেম্বর কে দিয়াছে। যাদের কেউ কেউ ভাতা পাইয়াছে আর অধিকাংশই পাইনি।
এছাড়াও কাষ্টদহ গ্রামে অতিদরিদ্রদের কর্মসজন কাজের লেবার সেরেনা খাতুন,ইয়ার আলী,মহিলা গরীব,হামিদা খাতুন,আকালী,আমির হোসেন,এরশাদছায়েদা,আব্দুল জল্লি,সহ ১০/১২জন শ্রমিকের নিকট কাজে থেকে বাদ দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কাজ শুরুর আগে ১হাজার ৫০০টাকা থেকে ২হাজার টাকা নিয়াছে।
প্রকৃত পক্ষে সেএকজন মহিষের রাখাল।তার প্রতিদিনের কাজ হলো বিকাল হতে রাত্রি ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরা বিভিন্ন জিনিস দেব বলিয়া মানুষের নিকট থেকে টাকা নেওয়া। সরকারী সুবিধা সমূহ বিনা মুল্যে পাওয়ার কথা থাকলেও টাকা ছাড়া কোন সুবিধা না পাওয়ায় এলাকার লোকজন অতিষ্ট ,একারনে সরকারের চরম ভাব মুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য আলী হোসেন বলেন, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে আমি এই সকল অনিয়মের সাথে জড়িত নয়।