রমজানেও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট অব্যাহত
প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবনের ব্যাপক দুর্ভোগে গাইবান্ধা জেলাবাসী : ঈদের কেনাকাটা ব্যাহত
রমজান মাসেও চলমান তাপ প্রবাহের এ সময়টিতে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গাইবান্ধা জেলার সর্বস্তরের মানুষকে । তদুপরি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জেলার ব্যবসায়ি এবং ক্রেতাদের ঈদের বেচাকেনা দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
দিনে ও রাতে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট অব্যাহত থাকছে। তদুপরি আকাশে মেঘ জমলে এবং সামান্য বৃষ্টি বাতাসেই গাইবান্ধায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। একবার বন্ধ হলে পুনরায় আবার এক থেকে দেড় ঘন্টা পর বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়। আবার কখনও ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পরেই বিদ্যুৎ ফিরে আসে। দিন এবং রাতে ২৪ ঘন্টায় এ অবস্থা চলতে থাকে প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ বার। রমজানের আগে ইরি-বোরো মৌসুমে এ অবস্থা ছিল আরো প্রকট।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেড (নেসকো) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের কোন উন্নতি হচ্ছে না। পূর্বে গাইবান্ধা শহর এলাকাটি একটি ফিডারের আওতায় অন্তর্ভূক্ত থাকলেও এখন গোটা শহরটিকে রেল লাইনকে কেন্দ্র করে পূর্বদিকে ডিভিশন-১ পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিম দিকে ডিভিশন-২ পশ্চিমাঞ্চল এ দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। দু’জন নির্বাহী প্রকৌশলীর আওতায় পৃথক ব্যবস্থাপনায় এ দুটি ডিভিশনকে সম্পুর্ণ আলাদা করা হয়েছে।
এতে জেলা শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নতি তো হয়নি বরং আরো অবনতি হয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ কেন্দ্র থাকলেও সেখানে টেলিফোন করে গ্রাহকদের টেলিফোন রিসিভ করা হয় না। এছাড়া বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রেও নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জেলা জুড়ে বিদ্যুৎ এই বেহাল অবস্থার মাঝে দিনাতিপাত করছে জেলাবাসী।
দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নতি হলেও গাইবান্ধায় বিদ্যুতের কেন এই বেহাল অবস্থা আর কেনই বা ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয় তার কোন সদত্তর গাইবান্ধা নেসকো কর্তৃপক্ষ দিতে পারেননি। তারা একটাই কথা সবসময় বলে থাকেন চাহিদার চাইতে গ্রিড লাইন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাওয়া কারণে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের গাছপালা গ্রাহকরা কাটতে বাধা দেয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ এর শুধু মাসে মাসে বিল আসে বিদ্যুৎ যায় তবে আসে না আসলে কাজের কাজ কোন কাজে লাগে না। এ ক্ষেত্রে শুধু গ্রাহক সংযোগ আর বিল পায় চাগিদা মতো বিদ্যুৎ মিলেনা।
জেলা জুড়ে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসনে ও জেলাবাসীর দূর্ভোগ কমাতে সংশ্লিষ্টরাসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছে জেলাবাসী সর্বসাধারণ।