খুলনা শিরোমণি বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের ডাক্তার-ষ্টাফদের দুই দফা দাবীতে লাগাতর কর্মসুচি শুরু
দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনা শিরোমণি বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের এ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাহামুদুল হাসান তারিফ ফেন্সিডিলসহ আটকের ঘটনায় ও নারী কেলেংঙ্গারীসহ বিভিন্ন দূনীর্তির অভিযোগে তাকে চাকুরীচ্যুত এবং দূনীর্তিবাজদের পৃষ্টপোষক হাসপাতালের পরিচালকের অপসারণের দাবী পুরন না হওয়ায় সেবা কার্যক্রম চালু রেখে নিয়মতান্ত্রীক ধারাবহিক ভাবে নতুন আন্দোলন গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করেছে হাসপাতালের ডাক্তার ও ষ্টাফরা।
এইক সাথে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে এবং দাবী আদায়ে আন্দোলন পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অপরদিনে মাদকসেবী ও নারী কেলেঙ্গারীর সাথে জড়িত মাহামুদুল হাসানকে রক্ষায় এবং চলমান আন্দোলনকে বানচালে প্রতিষ্ঠানের সকল সদস্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ম্যানিজিং কমিটির সদস্য হালিমা ইসলাম দৌড়ঝাপ শুরু করেছে।
খুলনা শিরোমণি বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের ডাক্তার ও ষ্টাফদের দুই দফা দাবী আদায়ে কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা সময় বেধে দেওয়া পর দাবী আদায় না হওয়ায় গতকাল সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত হাসপাতালের ডাক্তার-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পরিচালক ডাঃ আঃ হান্নানের অফিস কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে এক ঘন্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।
এ সময় বক্তৃতা করেন, ডাঃ মিজানুর রহমান নাছিম, ডাঃ নজরুল ইসলাম, ডাঃ সাইফুর রহমান, ডাঃ জুবায়ের রিয়াল, ডাঃ শিমুল চক্রবর্তি, কর্মকর্তাদের মধ্যে মীর মিজানুর রহমান, কর্মচারীদের মধ্যে গিয়াস জমাদ্দার, মোঃ খায়রুল ইসলাম, আফরোজা ইয়াসমিন ।
বেলা ১২টা থেকে সাড়ে ১২ পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং বেলা ২টা থেকে পরিচালকের কক্ষে তালা দিয়ে অবরুদ্ধকরণ কর্মসুচি পালন করা হয়।
আন্দোলনকারীদের নেতা ডাঃ সাইফুর রহমান জানান, আমাদের রুটি-রুজির সুনাম ধন্য এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের সেবা কার্যক্রমে কোন ধরনে বিগ্ন যাতে সৃস্টি না হয় সে জন্য হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে এবং দাবী আদায়ে আন্দোলন পরিচালনার জন্য হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মিজানুর রহমান নাসিম, ডাঃ নজরুল ইসলাম এবং ডাঃ বিএম সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালের আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন মাদকসেবী ও নারী কেলেঙ্গারী সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িত মাহামুদুল হাসানকে রক্ষায় এবং চলমান আন্দোলনকে বানচালে প্রতিষ্ঠানের সকল সদস্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ম্যানিজিং কমিটির সদস্য হালিমা ইসলাম বুধবার দুপুরে কতিপয় ব্যাক্তিকে নিয়ে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
পরে ডাক্তার সাইফুর রহমানকে পরিচালকের কক্ষে ডেকে হালিমা ইসলাম নিজেকে পুলিশের একজন ডিআইজির আত্মিয় পরিচয় দিয়ে অবিলম্বে আন্দোলন বন্ধ করা না হলে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন ।
এই খবর হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়লে সকলের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃস্টি হয়।
উল্লেখ্য প্রতিষ্ঠানের এ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাহামুদুল হাসান তারিফ গত ১০ জ্নু ফেন্সিডিল সহ ধরা পড়ার পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতি এবং নারী কেলেঙ্গারীর খবর বেরিয়ে আসলে প্রতিষ্ঠানের সকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে গত চারদিন ধরে দাবী জানিয়ে আসলে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করছে ।