মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার দিঘল গজী গ্রামের সরকারী স্কুলের দখলি রাস্তা ২বছরেও উদ্ধার হয় নি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পশ্চিম দীঘলগজী সমবায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র যাতাযাতের রাস্তাটি উপরে পাকা দেওয়াল নির্মান করায়। অবরুদ্ধ হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে বসবাসরত শত শত পরিবারসহ বিদ্যালয়ে পড়–য়া শত শত কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা চলাচলের রাস্তাটি। বিগত দুই বছর ধরে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে জিম্মি অত্র গ্রামের পরিবারগুলো ও বিদ্যালয়ের সাত শতাধিক কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীরা।
এবাপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা পায় নি বলে জানায় এলাকাবাসী। জানা যায়,পশ্চিম দিঘলগজী বর্ষিজোড়া যাতাযাতের দীর্ঘদিনের পুরানো রাস্তাটি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। অত্রগ্রামে রয়েছে এগারো শতাধিক পরিবারের বসবাস। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজের জন্য রাস্তার পাশে স্থাপিত হয়েছিল ১২ মার্চ ২০০৪ সালে পশ্চিম দিঘলগজী সমবায় বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। গড়ে উঠেছিল রাস্তার সাথে গ্রামের পাঞ্জেগানা একটি মসজিদও।
২০১৪ সালে ১লা জানুয়ারী বেসরকারী বিদ্যালয়টি সরকারের নজরে আসলে করা হয় সরকারী করণ। বর্তমানে স্কুলটির একটি ভবন নির্মানাধীন অবস্থায়। ইট,বালু,রড,সিমেন্টসহ প্রয়োজনীয় নির্মান সামগ্রী রাস্তার অভাবে সরবাহ করার নানা সমস্যার সম্মূখি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালে এম.এ. রকিব মিয়া নামক এক ব্যক্তি উক্ত রাস্তাটি বন্ধ করে রাস্তার উপরে পাকার দেওয়াল নির্মান করে দেন।
ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পশ্চিম দিঘলগজী ও বর্ষিজোড়া দুটি গ্রামের যাতাযাত ব্যবস্থা। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন আসলে ও কোন প্রকার কার্যকারী ভূমিকা রাখেন নি কেউ। এব্যাপারে এলাকার,মো: দেলোয়ার হোসেন ও মো: ফরুক মিয়া জানান,আমরা এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নিবাহী অফিসার মৌলভীবাজার সদর ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করি, ১১ জুন ২০১৮সালের দিকে কোন ফলাফল পায় নি।
ফাইল ধামাচাপে দিয়েই যাচ্ছেন। এর সাথে জড়িত থাকা এম.এ. রকিব শহরে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও পৌর বিএনপির সভাপতি। আরো জানান এলাকার আব্দুল করিম,এম.এ.রকিম একজন লোভি তিনি সরকারী ভূমিসহ মালিকানা অর্ধেক ভূমি ক্রয় করে বাকি জোর দখলে নি যান।
এবাপারে একাধিক মামলা রয়েছে রয়েছে বলেও জানান। এম.এ রকিবের বিরুদ্ধে মামলা বা কোন অভিযোগ করলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তার দুই কিয়ারটেক্কার নানা হুমকি দামকি নিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয় এলাকার নির্রীহ মানুষকে। নিজের জমিতে আগুন দিয়ে র্পাটা মামলায় ফাসানোর চেষ্টা করে। গ্রামবাসী ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কবে ফিরে পাবে দীর্ঘ্যদিয়ের চলাচলের রাস্তাটি।