পুলিশের টহল গাড়ি ও পুলিশের চেষ্টায় বাঁচলো দুটি প্রাণ!
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চট্টগ্রাম নগরীতে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় প্রসব বেদনা উঠে প্রান্তি নামের এক নারীর। প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়া স্ত্রীর অবস্থা দেখে দিশেহারা হয়ে যান স্বামী শিপন সেন। কাউকে সাহায্যের জন্য পাওয়ার আশায় পাগলের মতো ছোটাছুটি করেন ফাঁকা রাস্তায়। কিন্তু কোথাও কেউ নেই!
হতাশ হয়ে যখন শিপন সকল আশা ছেড়ে দিয়েছেন, ঠিক তখন সেখানে হাজির হন দুই পুলিশ সদস্য। ঘটনা শুনে পুলিশের টহল গাড়িতেই ওই নারীকে নিয়ে যান হাসপাতালে। পরে ভোরে একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই নারী।
শিপন জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার স্ত্রী প্রসব ব্যথা ওঠে। স্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য কোনো গাড়ি পাওয়া যায় কিনা খুঁজতে ছুটে যান আশরাফ আলী রোডে। কিন্তু কোথাও কিছু নেই। এমন সময় সেখানে হাজির হন পুলিশের দুই সদস্য। ঘটনা শুনে প্রথমে কল দেন অ্যাম্বুলেন্সের জন্য। কিন্তু তা না পাওয়ায় থানার টহল গাড়িতে করেই তার স্ত্রীকে নগরের জেসমিন রেডক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। ডাক্তার-নার্স ডেকে নিজেরাই তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
তিনি আরো জানান, পরে ভোরের দিকে তার স্ত্রী একটি কন্যা শিশুর জন্ম দেন। বর্তমানে মা-মেয়ে দুজনেই ভালো আছে। এই দুই পুলিশ সদস্যের প্রতি তিনি সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার মোকাবেলায় নগরীতে লকডাউন জারি করার পর থেকেই পুলিশ সদস্যরা অসহায় মানুষদের সাহায্য করছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এএসআই সুকুমার ও আজিজুল ইসলাম ওই নারীর প্রসব ব্যথার কথা জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি পাঠানো হয়। হাসপাতালে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।