১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে যা জানালো আবহাওয়া অফিস
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ‘আম্পান’ নামের এ ঝড়টি প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে বর্তমানে ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অভিমুখে এগোচ্ছে। যেটি ক্রমশই গতি বেড়ে ভয়াবহ হচ্ছে।
রোববার দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত আবহাওয়া অফিসের ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়। শনিবার রাতে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা পরিবর্তন করে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সে সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সেখানে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে এ ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে। বর্তমান প্রবণতা বজায় থাকলে দুই দিনের মধ্যেই এ ঝড়ের উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম আম্ফান।