গাংনীর দেবীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাটি ভরাট প্রকল্প মামুনের বিরুদ্ধে লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
মেহেরপুর প্রতিনিধি:
গাংনীর দেবীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাটি ভরাটের জন্য এমপি মহোদয়ের বিশেষ বরাদ্দ কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচি থেকে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।উক্ত বরাদ্দের ১ লাখ টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স বাদ দিয়ে ৯৪ হাজার টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।দেবীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাটি ভরাটের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়ার কারনে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাবদার আলীকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
সাবদার আলী তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কে পিআইসি করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করে দেন।কমিটির সদস্য হিসাবে দেবীপুর গ্রাম আওয়ামীলীগের সভাপতি মামুনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এই সুযোগে মামুন সবার অগোচরে পিআইসিকে ম্যানেজ করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট ভূয়া নাম পরিচয় দিয়ে সমুদয় টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়।উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষ তারিখ ছিল গত ৩০ জুন,২০২০ ইং।যেনতেন ভাবে কাজ করে সমুদয় টাকা আত্মসাত করেছ্ েবলে অভিযোগ করেছেন স্কুল সভাপতি সাবদার আলী।
আজ বুহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মিলেছ্।েফুটবল মাঠের মাঝ বরাবর ২ ট্রলি, ২ পার্শ্বে ২/৩ ট্রলি মাটির নমুনা দেখতে পাওয়া যায়। জানা গেছে, ৫-৭ ট্রলি মাটি দিলেও মাঠের খেলোয়াড়বৃন্দ সেই মাটি বিন্যস্ত করেছে। কোন লেবার মামুন দেয়নি।
স্কুল সভাপতি সাবদার আলী জানান, টাকা উত্তোলন করে কাউকে না জানিয়ে নাম মাত্র কয়েক ট্রলি মাটি স্কুল মাঠে ছিটিয়ে দিয়ে পুরো টাকা আত্মসাত করেছে।সাবদার আলী, গ্রামের মেম্বরসহ অনেকেই জানিয়েছেন, ফুটবল মাঠে পানি- কাদায় ছেলেরা খেলাধূলা করতে না পারায় এমপি মহোদয় মাটি ভরাটের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে শুনেছি। মামুন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাত্র ৫/৭ ট্রলি মাটি ছিটিয়ে ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার কাজ করে বাদ বাকী টাকা পকেটস্থ করেছে।
সাবদার আলী আরও জানান, এনিয়ে সংশ্লিষ্ট ্ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম কে জানিয়েছিলেন ,তিনি বিষয়টি অজ্ঞাত কারনে এড়িয়ে যান। এমনি করে এমপি মহোদয়কে অবহিত করলে তিনিও মামুনের অভিযোগ আমলে না নিয়ে বলেন, এবারেই শেষ ,পরবর্তীতে আর কোন প্রকল্প দেয়া হবে না।
এব্যাপারে গ্রাম আওয়ামীলীগের সভাপতি মামুনের সাথে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, ৫-৭ ট্রলি না অনেক মাটি দেয়া হয়েছে। কিছু টাকা এখনও রয়েছে আমি দেবীপুর হাইস্কুলে কিছু একটা গিফট করতে চাই।এমন একটা জিনিষ দেব যেটা সারাজীবন স্মুতি হয়ে থাকবে।
তবে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, এব্যাপারে আমার সাথে কোন কথা হয়নি।আমি তার প্রকল্পের অর্থ নেব কেন? প্রয়োজনে আমি নিজেই প্রকল্প বরাদ্দ নিয়ে কাজ করাবো।
এব্যাপারে গ্রাম আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গনির সাথে যোগাযোগ করেও তিনি অজ্ঞাত কারনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি।
এব্যাপারে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রকল্প বাস্তবায়নের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বমহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।