দাম কমছে পেঁয়াজের
সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে পেঁয়াজের। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম পাইকারীতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২ থেকে ১৫ টাকায়। আর দেশি পেঁয়াজের দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা। খুচরা বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে আরো ২ থেকে ৩ টাকা বেশিতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় ভাবে বাম্পার ফলন আর আমদানি বাড়ায় কমে আসছে দাম। তবে এর সুফল পাচ্ছেন না কৃষক। তাদের মতে, বাজার স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি কৃষককে ন্যায্য দাম দিতে হলে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
এবার বাম্পার ফলন হয়েছে পেঁয়াজের। অন্যবছর ভালো দাম পাওয়ায় এবার দ্বিগুণ উৎসাহে পেঁয়াজ আবাদ করেছেন কৃষকরা। ফলনও হয়েছে কাংখিতমাত্রায়।
তবে ভালো দাম পাওয়ার আশায় গুড়েবালি। একদিকে বাম্পার ফলন অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজে বাজার সয়লাব। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। ব্যাপক দরপতন হয়েছে এ নিত্যপণ্যটির। দেশের বিভিন্ন স্থানীয় বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ২০ টাকায়। তাদের দাবি এতে তাদের উৎপাদন খরচ মেটাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহের একটি বড় অংশ ভারত থেকে আমদানি হয়ে আসে। দেশটিতেও এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত নূন্যতম রপ্তানিমূল্য তুলে দিয়েছে। এতে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় দেশে বেড়েছে এর আমদানি। সব মিলিয়ে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে নিত্যপণ্যটির।
রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারী বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ টাকায়। খুচরা বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে দুই-তিন টাকা বেশি দামে। আর দেশী পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকায় আর খুচরায় ২০ থেকে ২২ টাকায়। দাম কমে যাওয়ায় কৃষক হতাশ হলেও সন্তুষ্ট ক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি এর সুফল কৃষককে দিতে হলে ভারত থেকে আমদানি কমাতে হবে।