নবীগঞ্জে যুদ্ধাপরাধী মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাপ গ্রেফতার
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে সংবাদদাতা
১৯৭১ সালে মানবতাবিরুদ্ধী যুদ্ধাপরাধ মামলায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা (বহিস্কৃত) আবুল খায়ের গোলাপকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।গত সোমবার বিকেলে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও হবিগঞ্জের ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার (আবুল খায়ের গোলাপের নিজ বাড়ি) লোগাঁও গ্রাম থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আটক কর হলেও পরে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মানবতাবিরুদ্ধী যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় । স্থানীয় সূত্রে জানান যায়, গত সোমবার বিকালে পুলিশের যৌথ বাহিনীর অভিযানে তাকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে সরাসরি নিয়ে আসা হয় হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে কী কারণে গ্রেফতার তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় গত সোমবার আটকের পর থেকে মিডিয়ার কাছে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৭ জুলাই গজনাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনেন মৌলভীবাজার জেলার আথানগীরি গ্রামের রইছ উল্লার স্ত্রী সুকুরি বিবি এক অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাপ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আলবদর আলসামছ ও রাজাকার বাহিনীর সংঘটক ছিলেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন বিচারক। এ প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের তৎকালীন ওসি মো. মোক্তাদির হোসেন দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। সোমবার বিকেলে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও হবিগঞ্জের ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার (আবুল খায়ের গোলাপের নিজ বাড়ি) লোগাঁও গ্রাম থেকে তাকে আটক কর হয়। সংবাদ লেখা পর্যন্ত কি মামলায় আটক করা হয়েছে জানা যায়নি ।
