গাংনী; ফেসবুকে পরিচয় অতপর..
আল-আমীন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ফেসবুকে পরিচয়ের সুত্র ধরে বেড়াতে এসে গ্যাড়াকলে পড়েছে দু যুবক। অবশেষে ৫০ হাজার টাকায় দফারফা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাংনীর চিৎলা গ্রামে বৃহষ্পতিবার রাতে।
ওই দু’যুবক হচ্ছে- মেহেরপুর সোনালি ব্যাংকের ক্যাশিয়ার ও গাংনীর হাড়িয়াদহ গ্রামের ইউনুস আলির ছেলে ইসতিয়াক আহমেদ (১৮) এবং মেহেরপুর ওয়াপদা পাড়ার আব্দুর রাজ্জাক খানের ছেলে টিপু খান (২৩)।
জানা গেছে, গাংনীর চিৎলা গ্রামের আকতার শেখের মেয়ে অনিমা খাতুন(২২) অৎরধহ ঝড়হ’ং অহর নামে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। এতে বন্ধু হয়ে যান ইসতিয়াক আহমেদ। এ পরিচয়ের সুত্র ধরে অনিমা খাতুন যশোর একটি ক্লিনিকে ফ্রন্ট ডেক্স অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। ইসতিয়াককে যশোরে বেড়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে আমন্ত্রণ জানান অনিমা।
বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ইসতিয়াক তার বন্ধু টিপু খানকে সাথে নিয়ে অনিমার গ্রামে আসেন। বৃহষ্পতিবার রাতে একটি ভ্যান যোগে রওনা দেন সকলে। পথিমধ্যে গ্রামের লোকজন তাদেরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। গাংনী থানার এসআই সুভাস চন্দ্র দাম ও সঙ্গীয় ফোর্স দু’যুবককে নিয়ে আসেন থানায়।
বৃহষ্পতিবার সকালে মেয়ের পরিবার বিয়ের জন্য চাপ দিলেও যুবক ইসতিয়াকের পরিবার রাজি না হওয়ায় এক লাখ টাকার বিনিময়ে ইসতিয়াকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় অনিমার পরিবার। অবশেষে ৫০ হাজার টাকায় মিমাংসা হয়। ইসতিয়াকের অভিযোগ, তাকে কৌশলে বিয়ে করার অভিপ্রায়ে ডেকে নেয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনিমার প্রথম বিয়ে হয় চিৎলা গ্রামের ওমর ফকিরের ছেলে মিন্টুর সাথে। সেখান থেকে তালাকপ্রাপ্তা হয়ে বাড়ি চলে আসলে পরে বিয়ে হয় অন্যত্র। সেখানে জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান। বর্তমানে তার বয়স তিন বছর। সেখান থেকে তালাক নিয়ে অনিমা যশোরে একটি ক্লিনিকে চাকরি নেয়। মাস খানেক আগে সে বাড়ি চলে আসে।