সরকারী নালা দখল করে বহুতল ভবন নিমার্ণ হুমকিতে কৃষি চাষাবাদ
শাহ মো: জিয়াউর রহমান, নীলফামারী
নকশা অনুমোমদন না করেই রানু এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ এর কারখানা ভবনের বর্ধিতাংশের কাজ করা হচ্ছে। অনেকটা গায়ের জোরেই এ কাজ চলছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তাছাড়া ইতোপূর্বে নির্মিত কারখানার মূল ভবনটিও সরকারী নালা দখল করে নির্মাণ করায় এলাকার কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনে জটিলতা দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে আশপাশের ধানের ক্ষেতসহ কৃষি জমির উপচে পড়া পানি নিষ্কাশনে দেখা দিয়েছে চরম সমস্যা । নালা দিয়ে পানি গড়াতে না পেরে রানু এগ্রোর বিল্ডিংয়ের গায়ে ধাক্কা খেয়ে উল্টো দিকের কৃষি জমিতে স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেকের ধান ক্ষেতের মধ্য দিয়ে দ্রুত বেগে পানি অপসারণ হওয়ায় ক্রমেই গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক স্থানে ভিন্ন পথে নালা তৈরী হয়েছে। এর ফলে ধানগাছ সহ মাটি ভেঙ্গে গিয়ে পৃথক নালায় পরিনত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে পাশের জমির মালিক-কৃষকরা।
এ ব্যাপারে এলাকার লোকজন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। তারা দ্রুত সুবিচার দাবী করেছেন।
এদিকে এ অভিযোগের বিষয়ে রানু এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ এর মালিক শ্রী সুনিল কুমারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা কোন নালা ক্রয় বা দখল করিনি। কোন নালা বন্ধ করে ভবন নির্মান করিনি। পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হলে তাতে আমাদের করার কিছুই নাই। ইউএনও ও সার্ভেয়ার এলাকার কাজ যাচাই করেছেন। তাতে কোন সমস্যা পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে এলাকার সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার মো: জলিল লিখিত অভিযোগ দিয়ে পানি অপসারণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ওয়ার্ড মেম্বার জানান, রানু এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ এর মূল ভবনটিই মূলত: সরকারী নালা দখল করে কামারপুকুর ইউনিয়নের আগের পরিষদের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এখন আবার মূল ভবনের দুই পাশে বিশাল বিশাল আরও দুটি ভবন নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। অথচ এগুলোর কোন নকশা অনুমোদন করা হয়নি।
এ ব্যাপারে কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান জানান, নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়ে এখনও কোন নকশা পরিষদে দেয়া হয়নি। তাই অনুমোদনের প্রশ্নই আসেনা। তবে তারা জানিয়েছে কাজটা শেষ হরেই নকশা দেয়া হবে। তবেই এসব ভবনের কারণে এলাকার কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।