”বন্দরের দুদিনের পোর্ট এক্সপোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী”
Channel 4TV : শীঘ্রই চট্রগ্রাম বন্দর গ্রীন ও স্মাট বন্দর হিসেবে আত্ম প্রকাশ করবে,বন্দর চেয়ারম্যান
চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩০বছর পূর্ণ হয়েছে ২৫ এপ্রিল । সে জন্যই বন্দর দিবস কল্পে নানা অনুষ্ঠানে পালনের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।১৩০বছর পূর্তি উপলক্ষে দুদিনের পোর্ট এক্সপো-২০১৭ এর আয়োজনে ২৭এপ্রিল ভিডিও কনফান্সেরের মাধ্যমে এই এক্সপোর জমকালো আসর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা।আর সমাপনী দিবসে ২৮এপ্রিল প্রধান অতিথি থেকে বন্দর এক্সপোর বিভিন্ন দেশের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সম্মাননা জানাবেন বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ । এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শহীদ মোঃ ফজলুর রহমান মুন্সি হলে আয়োজিত গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভাতে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল খালেদ ইকবাল লিখিত বক্তব্যে এই তথ্য জানান। তিনি আরো জানান ইতিমধ্যই চট্রগ্রাম বন্দর কে গ্রীন ও স্মাট বন্দর হিসেবে আত্ম প্রকাশে যাবতীয় সকল প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে চলেছে বলে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। এছাড়া ভবিষ্যতে বন্দরে বিশাল এক কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। এই কর্মক্ষেত্রে যারা চাকরি করতে চান, তাদেরকেও এক্সপোতে ধারণা দেয়া হবে। বিশ্বে চট্টগ্রাম বন্দরকে নতুন করে উপস্থাপনের জন্য এক্সপো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চেয়ারম্যান আরো বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির হার সাত শতাংশের কাছাকাছি হলেও চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবৃদ্ধি ষোল শতাংশের বেশি। বন্দর বে টার্মিনাল নির্মাণ করছে। মাতারবাড়ীতে নির্মিত হচ্ছে বন্দরের অবকাঠামো। আর পতেঙ্গা লালদিয়ার চরেও টার্মিনাল গড়ে উঠছে। ২০১৯সালের মধ্যেই পতেঙ্গায় পোর্ট টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষে করে চালুর উদ্যোগ দ্রুত হচ্ছে। বন্দরের ব্যাপক চাহিদার যোগান দেয়ার জন্য বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় নতুন মাত্রা পেয়েছে।বন্দরের আধুনিকায়নে কর্ণফুলি নদীতে ক্যাপিটেল ড্রেজিং শীর্ষক প্রকল্পটির আওতায় ব্যাংক প্রটাকশনকাজ শেষ করা হলেও ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন না করার কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বাতিল করার কথা জানান।তবে ঠিকাদারের সাথে আইনগত জটিলতা মিঠে গেলে ঐ ড্রেজিংকাজ শুরু করে কর্ণফুলি নদীকে পুরোদমে কাজে লাগানো যাবে। এতে করে বন্দর ব্যবহারকারী গন বেশী লাভমান হবেন।
তিনি বন্দরের আওতায় নদী ও সমূদ্র কে আবর্জনা মুক্ত এবং পরিবেশ সম্মত রাখার জন্য বে-ক্লিনার১/২ বোট কাজ করছেন বলে জানান। বন্দরের কার্যক্রম কে আরো অগ্রসারমান এবং গতিশীল করতে ডাস সরকারের একটি বিশাল অনুদান (এক মিলিয়ন ইউরো)প্রায় চুড়ান্ত বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান।এই অনদান পাওয়া গেলে ট্রেনিং সিষ্টেম,ট্রেনিং সেন্টার উন্নতি করে সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় বিশেষ প্রয়োজনীয় স্কুল(প্রতিবন্ধী স্কুল)করার উদ্যোগ রয়েছে। যাহাতে প্রায়৩০০/৪০০ছাত্র-ছা্ত্রীর ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি করবেন । আর মুক্তযুদ্ধ কালীন বন্দরের যে অবদান রয়েছেএবং নৌ কমান্ডো অপরাশেন জ্যাকপট কে নবপ্রজন্মর কাছে তুলে ধরতে একটি চলচিত্র নির্মাণ করার কথাও বলেন।
বন্দর চেয়ারম্যান পরিশেষে-চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক অগ্রগতিও উন্নয়ন পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতাওদিক-নিদের্শনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং নৌ-মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সমন্বয়ে বাংলাদেশের অর্র্থনীতির প্রাণ কে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে আমাদের সম্ভাবনা তুলে ধরতে চাই। দুদিনব্যাপী এক্সপো এই প্রত্যাশা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বন্দর দিবস উপলক্ষে বেশ কয়েকটি কর্মসূচির মধ্যে পতাকা উত্তোলন করে দিবসকে সম্মান জানানো,সভা,শ্রমিক ও সর্ব সাধারণের জন্য বিশাল মেজবান,ভোজ সভা,মুক্তযুদ্ধ কালীন বন্দরের সদস্য সংবর্ধনা এবং দুদিনব্যাপী এক্সপো –সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মালা। এক্সপো সফল করতে বন্দরের সদস্য (প্ল্যানিং অ্যান্ড এডমিন) মোহাম্মদ জাফর আলমকে প্রধান করে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটির প্রধান মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, বাংলাদেশে বন্দরের কর্মকাণ্ড এবং কার্যক্রম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।এটি একটি বিশাল সম্ভাবনাময় খাত। এই খাতকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করতে চাই বলেই দুদিনব্যাপী এক্সপো এই প্রত্যাশা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভাতে আরো উপস্থিত ছিলেন-বন্দরের সদস্য (প্ল্যানিং অ্যান্ড এডমিন) মোহাম্মদ জাফর আলম,সদস্য-কমডোর জুলফিকার আজিজ ( সদস্য- প্রকৌশলী) কমডোর শাহীন রহমান(সদস্য,হার-বার মেরিন),কমডোর কামরুল আমিন( সদস্য-অর্থ) এবং বিভিন্ন সংবাদ পত্রের সাংবাদিকগণ।