টঙ্গীর বিভিন্ন বস্তি এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ হলেও এরশাদনগরে চলছে মাদক ও জুয়া এসপির হস্তক্ষেপ কামনা
রবিউল ইসলাম Channel 4TV : গাজীপুর এস,পির নির্দেশে মাদক বিরোধী অভিযার অংশ হিসাবে টঙ্গী মাজর বস্তি, ব্যংকের মাঠসহ বিভন্ন মাদক পল্লীগুলোতে মাদক বিক্রেতা একে বারে বন্ধ না হলেও সচরাচর বিক্রয় করতে দেখা যায় না। আগের তুলনায় অনেক অংশ কমে গেছে। বিশেষ করে নবগঠিত কমিউনিটি পুলিশের কায্যক্রম প্রশংশনীয়। সরজমিনে টঙ্গীর বিভিন্ন বস্তি এলাকা পর্যবেক্ষন করে দেখা যায় মাদক বেচাকেনায় তৎপরতা খুব একটা চোখে পড়েনি। এছাড়া কমিউনিটি পুলিশ বস্তি এলাকায় সর্তক অবস্থায় রয়েছে। সন্দেহ জনক বহিরাগত কাউকে বস্তিতে ডুকতে দিচ্ছেনা। তবে টঙ্গী এরশাদ নগর এলাকায় সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম দেখা গেছে। সেখানে অবাদে বিক্রয় হচ্ছে মাদক ও চলছে জুয়ার আসর। প্রতিদিন শত শত মাদক সেবীরা এরশাদ নগরে প্রবেশ করছে এর পাশাপাশি নামি-দামি প্রাইভেটকারও ডুকছে এবং বাহির হচ্ছে, যেন দেখার কেউ নেই। এরশাদ নগরের ৮টি ব্লকের কয়েকটি মাদক বিক্রেতাদের তালিকা তুলে ধরা হলো। এরশাদ নগরের কুখ্যাত মাদক বিক্রেতা । ১নং বক্ল মুন্না ইয়াবা ডিলার, পিতা মৃত মতি মিয়া সে পুলিশের সোর্স নজীর ও খাঁ পাড়া জাহাঙ্গীর হত্যা মামলার আসামী। একই ব্লকের বাবু কিমিনাল রেকট না থাকলেও অনেকটা ভ্রাদ লোকের মতো চালিয়ে যাছে ভিয়য়ার ব্যবসা, ১নং ব্লকের গেদি ইয়াবা ব্যবসায়ী, ২নং ব¬কে মোহাম্মদ, ৩নং ব্লকের লাইলি, মহারাজ,সেলিম,স্পন,স্মৃতি,হুনুফা,গাজী, দেশি-বিদেশী মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা বিক্রেতা। এছাড়াও ৪নং ব্লকের জ্যামস ইয়াবা ব্যবসায়ী, সুমন ও শরীফ ইয়াবা ব্যবসায়ী, ৫নং ব্লকের হাত কাটা সফিকুল জুয়ার ঘর নিয়ন্ত্রণ ও ইয়াবা ব্যবসায়ী, জ্যামসের বউ বেগম ইয়াবা ব্যবসায়ী, জালাল বিয়ার ব্যবসায়ী ও ২২আঙ্গুইলা হাসান ফেনসিডিল ব্যবসায়ী । ৬নং ব্লকের নেংড়া হালীম ওরফে চাকমা হালিম গাজা ও ইয়াবা ব্যবসায়ী, ৭নং ব্লকের জামাল ও তার স্ত্রী ফুলবানু ইয়াবা, ফরমা আলমগীর ও তার বোন লিটু ইয়াবা ব্যবসায়ী, মিলন পিতা মজিবর গাজা ব্যবসায়ী। ৮নং ব্লকের বেবী গাঁজা ডিলার। সে ঢাকার কাটাবর এলাকায় বিখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত, ওই থানায় তার ছবি ঝুলানো আছে। এই মাদক স্পটগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও পুলিশের সোর্স। প্রতিনিয়ত এই স্পটগুলো থেকে বখরা আদায় করার কারণে এরা মাদক বিক্রয় করার সুযোগ পায়। যার কারনে ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে অত্র এলাকার যুব সমাজ। তাই এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন । এব্যাপারে টঙ্গী মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ তালুকদার জানান, টঙ্গীর সবচেয়ে বড় বস্তি হচ্ছে এরশাদ নগর বস্তি উক্ত বস্তিতে প্রায় লক্ষাধিকেরও বেশী লোকের বসবাস রয়েছে। পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মদ, গাজা, ফেন্সিডিল সহ অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করছে। ফিরোজ তালুকদার আরো জানান, এরশাদ নগর বস্তি থেকে পুলিশ চাপাতি, ছোরা, অস্ত্রসহ বহু সন্ত্রাসী কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশ দিনরাত কাজ করে যাচেছ। তবে মাদক ব্যবসা এখন নিয়ন্ত্রনে।