কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের নামে টাকা উত্তোলন ও আত্বসাতের অভিযোগ
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার Channel 4TV : কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের নামে টাকা উত্তোলন ও তা আত্বসাতের অভিযোগ উঠেছে কথিত কিছু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। যানা যায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বাস্তবয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু শোয়েব খানের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের নামে ৩৮ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বাস্তবিক অর্থে আসলেই কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রেসক্লাব নামে কোন সাংবাদিক সংগঠন নেই বা কোন সময় ছিলও না। কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব দুটি হলেও
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রেসক্লাব নামের কোন সংগঠনের অস্থিত খুজে পাওয়া যায় নি।
সংগঠনটি টাকা উত্তোলনে পিআইসি কমিটির সভাপতি হিসেবে মাহমুদ হাসান নামে একজনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান,এই মাহমুদ হাসান দীর্ঘদিন ধরে নামে বেনামে ভূইফোঁড় ও ভূয়া সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রকল্প থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ রিপোটার্স ক্লাব কুষ্টিয়া জেলা শাখার নামে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে এই মাহমুদ হাসান। টাকা উত্তোলনের পর পূরো টাকা নিয়ে কয়েক মাস ঢাকায় পালিয়ে আত্বগোপন করে। পরে কুষ্টিয়া জেলা রিপোটার্স ক্লাবের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ জরুরূ বৈঠকের মাধ্যমে তাকে বহিষ্কার করে। ঐ সংগঠন থেকে বহি®কৃত হয়ে পরে সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রেসক্লাব নামে একটি ভূইফোড় সংগঠন গড়ে তুলে । যার কোন কার্যক্ষম বা সাংগঠনিক কাঠামো কুষ্টিয়ায় নেই । খোঁজ নিয়ে যানা যায়,এই মাহমুদ হাসান কুষ্টিয়া শহরতলীর পালপাড়ার বাসিন্দা। বিভিন্ন অপকর্মের হোতা ইে মাহমুদ হাসান কিভাবে দিনের পর দিন ভূয়া ও সংগঠনের নামে বেনামে টাকা উত্তোলন করছে তা নিয়ে প্রশ্ন সচেতন মহলের। সরকারী টাকা তছরুপের সিদ্ধহস্ত কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু শোয়েব খান দীর্ঘদিন ধরে এই রকম কিছু ভূয়া প্রতিষ্ঠান খুজে খুজে পছন্দমত লোকের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই সচেতন মহলের দাবি বিষয়গুলোর সঠিক তদন্ত করে অতিদ্রুততার সাথে এসকল ধান্দাবাজদের হাতে হাত কড়া পরিয়ে আইনের আশ্রয়ে দেওয়া হোক।