ডাঃ মোঃ গোলাম মোস্তফার সৃষ্টিশীল কর্ম আজ প্রশংসার দাবীদার
বিশেষ প্রতিবেদক,মু.নজরুল ইসলাম Channel 4TV :
মানুষ শ্রেষ্ঠ,এই প্রতিপাদ্য তখনই সমাজে প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব বহন করে,যখন মানুষের কোন সৃষ্টিশীল কর্ম প্রজন্মের পর প্রজন্ম কর্মের সুফল ভোগ করে।"মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ"এই অমৃত বাণী নিজের মধ্যে আগলে রেখে,ডাঃ মোঃ গোলাম মোস্তফা নিজ কর্মস্হল পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স চত্বরে অনেক দিন আগে থেকেই নিজ উদ্যোগে হাসপাতাল কর্মকর্তা - কর্মচারীদের সমন্বয়ে শুরু করেছেন স্মরনীয় বিভিন্ন কর্মযজ্ঞ।বিভিন্ন কর্মের মধ্যে হাসপাতালের পরিবেশ উন্নয়ণ,শোভা বৃদ্ধি ছাড়াও হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের পুষ্টি,হাসপাতালে আগত সরকারী মেহমানদের ও কর্মকর্তা- কর্মচারীদের পুষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্যে,গড়ে তুলেছেন বিশাল ফলজ বাগান।প্রতিবেদক,হাসপাতাল চত্বর ঘুরতে এসে চোখে পড়ে ফলজ বাগানের নান্দনিক দৃশ্য। এ ব্যপারে ভালভাবে জানার জন্য দেখা করেন এবং কথা বলেন দশমিনা উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ গোলাম মোস্তফার সাথে।কল্যাণীয় কর্মযজ্ঞের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি দশমিনায় যোগদানের পর স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স চত্বর অপরিছন্ন ডোবা ভরাট,ডিজিটাল সাইনবোর্ড,বিভিন্ন আগাছাপূর্ণ চারপাশ পরিস্কার ছাড়াও হাসপাতালের পতিত জায়গায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ফলজ বাগান করেছি। সৃষ্টিশীল কাজের ব্যয় সংক্রান্ত উৎস জানতে চাইলে তিনি জানান,শুধু ডোবা ভরাট বাবদ সরকারী কিছু টাকা বরাদ্ধ দিলেও তা ডোবা ভরাটে পর্যাপ্ত ছিল না।আর বাকি কর্মযজ্ঞের ব্যয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত অর্থায়নে করেছি এবং এখনও অব্যাহত আছে।খুটিনাটি ব্যয়ের সুষ্পষ্ট হিসাব নাই,কারণ প্রায় দিনই খুব সকালে নিজেদের আগ্রহে বিভিন্ন পরিছন্নতার কাজ করে থাকি।আমি নিজে যখন কাজ করি তখন অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাচ্ছ্যন্দ বোধ করে।তবে,ফলজ বাগানের একটা ব্যায় বিবরণী প্রতিবেদককে দেখান, বিবরণী অনুযায়ী জানাযায়,নারিকেল,আম,পেঁয়ারা, আমড়া,লেবু,ছবেদা,জলপাইঁ,জাম, আমরুলওবড়ই মোট ৪০৫টি চারা ক্রয়কৃত ব্যয় ৪৪৮৫০টাকা এবং রোপনকৃত জনবল, সরঞ্জামাদি সহ ব্যয় ৩৬৩০০টাকা।সর্বমোট ব্যয় ৮১১৫০ টাকা। এ ব্যপারে তিনি জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারী হতে প্রাপ্ত ৪৮২০০টাকা বাকি ৩২৯৫০টাকা নিজেই ব্যয় করেছেন। এই বিশাল কর্মযজ্ঞের লিখিত- অলিখিত সেচ্ছায় শ্রম ও ব্যয়ের চাওয়া-পাওয়ার কথা জানতে চাইলে,তিনি বলেন,আমার এই কর্মটুকু যদি,মানুষের বিভিন্ন পর্যায়ে সৃষ্টিশীল উজ্জীবিত করার গতি বৃদ্ধি করে সোনার বাংলাদেশ শক্ত ভিওি তৈরীতে খানিক সাড়া দেয়,তাহলে মানুষ হিসেবে আমার স্বার্থকতা।