ছেলের উপর অভিমান করে লজ্বায় মা হানু খাতুনের গলাই রশি
আল-আমীন,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার Channel 4TV : মেহেরপুরের গাংনীর পল্লী শানঘাটে স্ত্রীর সাথে মায়ের কলহ হলে স্ত্রীর পক্ষে নিয়ে মাকে ঝাটা ও লাতি মারে ছেলে জুয়েল। শুধু মারেনি মারার পর আবার তাকে ছেরে স্ত্রীর হাত ধরে শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। এঘটনায় ছেলের উপর অভিমান করে লজ্বায় গলাই রশি ও ওরনা দিয়ে আত্ম হত্যা করেছে হানু খাতুন নামের এক মহিলা (৪৫)। এঘটনা সচেতন মহলের অনেকে ওই ছেলে জুয়েলের বিচার দাবি করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের শাননঘাট গ্রামের ডারিয়াপাড়ায়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে নিজ ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। জানাগেছে, শানঘাট গ্রামের মৃত আলাউদ্দীনের স্ত্রী হানু খাতুনের ছেলে জুয়েল (২৪) ও একমেয়ে ৮মশ্রেনিতে পড়–য়া।
গত কিছু দিন আগে ছেলে জুয়েল সিংগাপুর থেকে ছুটিতে বাড়ি ফেরেন। গত রোববারে ছেলের বৌয়ের সাথে ঝগরা ঝাটি হয় হানু খাতুনের। পরে বিষয়টি মিটে যায়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আবারও পারিবাড়িক কলেহ শুরু হয়। এক সময় বড় আকার ধারণ করে। এক পযার্য়ে স্ত্রীর মন রক্ষাতে তার পক্ষে নিয়ে সিংগাপুর প্রবাসীছেলে জুয়েল লাতি ও কিল মারতে থাকে মা হানু খাতুনকে। পরে একটি ঝাটা দিয়ে মারতে থাকে এক পর্যায়ে ঝাটা ভেঙ্গে গেলে জুয়েল তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। ঝাটার আঘাতে হানু খাতুনের পিটের বিভিন্ন অংশে দাগ পরে প্রতিবেশিরা। তাকে শান্ত করে প্রতিবেশিরা চলে যায়। বিকেলে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তার লাশ। শ্বশুর বাড়ি থেকে সংবাদ পায় তার মা গলাই রশি দিয়েছে।
এক মায়ের আত্ম হত্যা অন্যদিকে নিজেকে মামলাথেকে বাচাতে গাংনী কয়েকজননেতার কাছে ধরনাদেন জুয়েল। পরে গ্রামের কয়েকজন এঘটনায় গাংনী থানায় একটি ইউডি করে পার পায়।
শানঘাট গ্রামের ইউপি সদস্য মজিরুল ইসলাম জানান, সামন্য ঝগরা ঝাটি হয়েছে। এর বেশি কিছু জানিনা।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, এবিষয়েকেউ বাদি হয়নি। আর আমি মার ধরের বিষয়ে কিছুই জানিনা।