মেহেরপুরের গাংনীতে হাত পা বেধে গৃহবধুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা। মামলা রেকর্ড না হওয়ায় আত্মহত্যার হুমকী
গাংনীর ভোমরদহ থেকে ফিরে এম এ লিংকন Channel 4TV : মেহেরপুরের গাংনীর ভোমরদহ গ্রামের এক গৃহবধুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী তিন বখাটের বিরুদ্ধে। গৃহবধু গাংনী থানায় শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করলেও ১০ দিনেও মামলা রেকর্ড করেনী পুলিশ। মামলা রেকর্ড ও অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি না করলে আত্মহত্যার হুমকী দিয়েছেন ঐ গৃহবধু। এদিকে শ্লীলতাহানির এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠছে একটি প্রতারক চক্র। গাংনী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে গৃহবধু ও তার পরিবার কে অব্যাহত হুমকী দেওয়ার অভিযোগ তুলে এর প্রতিকার দাবি করেছেন তারা। গৃহবধুর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ এপ্রিল মধ্যে রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির পার্শে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ধর্মচাকী গ্রামের হাউসের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩০), মুন্নাফ আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২৮) ও আব্দুল হামিদের ছেলে রাশিদুল ইসলাম তার হাত, পা ও মুখ বেধে বাড়ির পাশে একটি বাঁশবাগানের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এসময় তিনি চিৎকার করলে চাচী শাশুড়ী ঘটনাস্থল থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। গৃহবধু অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্তরা বেশ কিছুদিন যাবৎ উত্যাক্ত করে আসছিল। তারা প্রভাবশালী হওয়ার কারনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায়নী। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিকী এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,শ্লীলতাহানির বিষয় টি মিমাংশা করার জন্য উভয় পক্ষ রাজি থাকলেও শেষ পর্যন্ত কোন পক্ষ এগিয়ে না আসায় সমঝোতা সম্ভব হয়নী। গাংনী থানার ওসি তদন্ত কাফরুজ্জামান জানান,গৃহবধু থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর তদন্তের জন্য এস আই সুফলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গাংনী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সুফল কুমার জানান,শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনা তিনি তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়েছেন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার কিংবা আইনগত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নী তবে এ বিষয় টি ওসি তদন্ত কে অবগত করেছেন। গাংনী থানার ওসি তদন্ত কাফরুজ্জামান আরো জানান, মামলা টি এফ আই আর করার জন্য ঐ গৃহবধু কে থানায় আসার জন্য বলা হলেও তিনি আসেননী। একারনে এখন পর্যন্ত মামলা রেকর্ড করা হয়নী। গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসন জানান, ঐ গৃহবধু যখন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সে সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন। একারনে ঘটনাটি তার জানা নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুত্তভুগীর পরিবারের এক সদস্য অভিযোগ করে বলেন,অভিযুক্তর অর্থ ও বিত্তশালী হওয়ার কারনে আইনৃংখলা বাহিনীকে ম্যানেজ করার কারনে মামলা নিতে গড়িমসি করছে। শ্লীলতাহানির বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ততের বাড়িতে গেলে তাদের পাওয়া যায়নী।