বনানীতে ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর ছবি প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার দুই তরুণীর ছবি ফেসবুকে প্রকাশের মাধ্যমে যারা তাদের হেয় করার চেষ্টা করছে তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
শনিবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা এমনটা করেছে, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। বিষয়টি সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে অবহিত করা হবে।
আব্দুল বাতেন বলেন, বনানীর ধর্ষণ মামলার দু’জন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।আজ সাফাতের ড্রাইভার বিল্লালের রিমান্ড শেষ হবে, তাকে আজ আদালতে হাজির করা হবে। অপরদিকে কাল দেহরক্ষী রহমতের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হবে।
আরেক প্রধান আসামি নাঈম আশরাফের রিমান্ড চলছে জানিয়ে ডিএমপির এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, নাঈমের রিমান্ড চলছে, তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না, তবে ঘটনা সম্পর্কে আমরা পুরোপুরিই পরিস্কার হয়েছি। তদন্তের পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ১১ মে সাফাত ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দিন আদালতে তোলা হলে আদালত সাফাতকে ৬ দিন এবং সাদমান সাকিফকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া গত ১৫ মে সাফাতের দেহরক্ষী রহমতকে গুলশান থেকে এবং ড্রাইভার বিল্লালকে নবাবপুর থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে রহমতকে ৩ দিন এবং বিল্লালকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
গত ২৮ মার্চ বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে বন্ধুর মাধ্যমে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। এরপর অভিযুক্তরা ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখে।