মেহেরপুর জেলার মৎস্য চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছে গাংনী উপজেলার মৎস্য চাষিরা
আল-আমীন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার Channel 4TV : মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামে মৎস্য চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছ্ গ্রামের মৎস্য চাষিরা গ্রামের নারী-পুরুষ মিলে
মাছ চাষ করেই নিজেরা স্বাবলম্বী হয়েছে । মেহেরপুরের আমিষের চাহিদা পূরণ করে তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় মাছ পাঠাছেন । যার ফলে বিভিন্ন ধান চাষের ওপর নিভরশীলতা অনেকাংশে কমে গেছে। ষোল টাকা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, এ গ্রামের প্রায় ঘরঘর রয়েছে ছোট বড় পুকুর। এক সময়ের পরিত্যক্ত এসব পুকুরে চলছে বাণিজ্যিকভাবে মাছের চাষ। পুকুরে মাছের খাবার দিচ্ছেন মাছ চাষি। পাঙ্গাস কাতলা হাউব্রেড তেলাপেয়া চাষ করে। আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়েছে গ্রামের প্রতিটি পরিবার।ষোল টাকা গ্রামে প্রায় ২৫০০’পুকুর আছে । ষোলটাকা গ্রামের পুকুর মালিক ময়নাল হক জানান, এই ষোল টাকা গ্রামে অনেক খাল- বিল-পুকুর রয়েছে। অনন্য গ্রামে পুকুরে চৈত্র মাসে পানি শুকিয়ে যায়। কিন্তু ষোল টাকা গ্রামে বার মাসি পানি থাকে কখনও শুকায় না। যার কারণে এ গ্রামের শত ভাগ মানুষ পুকুরে মাছে চাষ করছেন ।অনেকে ধানি জমিতে পুকুর করে মাছের চাষ করছেন। এ থেকে গ্রামের নাম হয়ে যায় ষোল টাকা মৎস্য গ্রাম। ষোল টাকা গ্রামে ২৫০০ পুকুর রয়েছে ।
গাংনী উপজেলার জুগীদা গ্রামের মকলেচুর রহমান জানান একটি পুকুর মৎস চাষ করে সংসার জীবনে অনেক কিছু করিবার সম্ভব যদি। সরকারী সহযোগীতা পাওয়া যায়।
মাচ চাষি হালিম জানান, গ্রামের অনেক মানুষ মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে তাদের দেখে মাছের চাষ শুরু করেন। মাছ চাষ করে এ গ্রামের সবাই স্বাবলম্বী হয়েছে ।
পুকুর মালিক নাসিম জানান, , এ গ্রামে ঘরঘর পুকুর রয়েছে। সেসব পুকুরে , কাতলা, পাঙ্গাসসহ সব ধরনের সাদা মাছের চাষ করা হয়। এসব মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা হিসেবে নিয়ে যান।
মাছের খাবার তৈরির মিল মালিক সাহারুল ইসলাম জানান, , এ গ্রামে মাছের চাষ বেশি। আর সেই মাছের খাবারের চাহিদা মেটাতে এখানে ৪টি মৎস্য খাবার উৎপাদন মিল তৈরি করা হয়েছে।
গাংনী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, ষোলটাকা বানিয়াপুকুর জুগিরগোফা গ্রাম মৎস্য গ্রাম হিসেবে বাংলাদেশের মধ্যে পরিচিত হয়েছে । এ অঞ্চলের মাছ চাষ করেই শত ভাগ মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছে । মেহেরপুরে আমিষের চাহিদা পূরণ করে বাংলাদেশের সব জেলাতেই এখানকার মাছ যায়।