গেলো এক শতাব্দিতে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা ১ লাখ থেকে নেমে এসেছে, মাত্র সাড়ে তিন হাজারে। তাই ২০১০ সালে রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে চিহ্ণিত করে প্রকৃতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আইইউসিএন।
২০১০ সালের বিশ্ব বাঘ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মহলের ঘোষণা, ২০২০ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা হবে দ্বিগুণ। কিন্তু রাশিয়া, ভারত, নেপাল, ভুটানে বাঘের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়লেও, বাড়েনি রয়েল বেঙ্গলের আদিনিবাস বাংলাদেশে।
তার দাবি, অন্যদেশগুলোতে বাঘের চোরা শিকার বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীদের নজরে আসে বাংলাদেশ। মংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজ দিয়ে এই চক্র চীন, জাপান আর কোরিয়ায় পাচার করছে বাঘের চামড়া, হাড়গোড়।
সুন্দরবন থেকে বাঘের এসব হাড়গোড় আর চামড়া যে পাচার হচ্ছে, তার প্রমাণ মিলেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। সেখানে বলা হয়, গেলো ৬ বছরে ২২ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার করেছে প্রশাসন। এক্ষেত্রে কখনো ব্যবহার করা হয়েছে বিষটোপ কখনো বা বন্দুকের নল।
৬ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনে, সামান্য জনবল দিয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগার রক্ষা করার চেষ্টা বেশ দূরহ বলে মনে করে বন বিভাগও।
ক্যামেরা ট্রাপ পদ্ধতিতে করা সব শেষ গবেষণা বলছে, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘ আছে মাত্র ১০৬ টি।
বাঘের চামড়া ও হাড় মোংলা বন্দর দিয়ে পাচার হচ্ছে
২০১০ সালের বিশ্ব বাঘ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মহলের ঘোষণা, ২০২০ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা হবে দ্বিগুণ। কিন্তু রাশিয়া, ভারত, নেপাল, ভুটানে বাঘের সংখ্যা বাড়লেও, বাড়েনি বাংলাদেশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যদেশে বাঘের চোরা শিকার বন্ধ হওয়ায় আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীদের নজর এখন বাংলাদেশ। মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজ দিয়ে এই চক্র চীন, জাপান আর কোরিয়ায় পাচার করছে, বাঘের চামড়া ও হাড়। যদিও বন বিভাগের দাবি গেল এক বছরে দেশে কোনো বাঘ শিকারের ঘটনা ঘটেনি।