মাননীয় বিদ্য্যুৎ মন্ত্রী মেহেরপুর জেলা বাসীকে বাঁচান বর্তমান গাংনী পৌরসভায় ১ঘঃ পর ১ঘঃ লোডশেডিং
আল-আমীন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :
মেহেরপুরের গাংনী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে ডিজি এম ফকর উদ্দীন যোগদান করার পর থেকে মেহেরপুর জেলার গ্রাম গুলোতে রমজানের পর থেকে লোডশেডিং দেখিয়ে সন্ধা থেকে রাত ১১টা প্রর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ রাখা হয়। বিদ্য্যুৎ না থাকাই এখন জেলার শত শত গ্রামের স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী লেখা পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । বিদ্যুৎ না থাকায় স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে আবার বিদ্য্যুৎ আসলেও এক ঘণ্টা বা তার চেয়ে কম সময় থেকে আবার চলে যায়। লোডশেডিংয়ের তীব্রতায় মানুষ এখন দিশেহারা। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে এ অবস্থা সহ্যকরা জনগণের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন তারা। সরকারে সুনাম নষ্ট করার জন্য ডিজি এম নামজের সময় বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখে ।এদিকে লোডশেডিং দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করলেও সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষের কার্যকর কোনো পদক্ষেপই চোখে পড়ছে না। শুধু সন্ধা বেলায় নয়, গভীর রাতে ও লোডশেডিং হচ্ছে। দিনের বেলাতে আর গাংনী পৌর এলকায় একটু বিদ্যুৎ বর্তমান ১ঘটার পর পর ১ঘটার লোডশেডিং ।গাংনীর গ্রাম গুলোতে সন্ধা থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার কারণে লেখা পাড়া থেকে বঞ্চিতর পাশা পাশি রাতে ঘুমাতে পারছে না মানুষ। দুর্বিষহ এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ যে কোনো মুহূর্তে বিস্ফোরিত হতে পারে।
এদিকে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বিদ্যুতের দাবিতে গ্রামের হাজার হাজার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে । এমন কি বিক্ষোভের জন্য প্রস্তুতি নিছেন ।
কিন্তু মেহেরপুর গাংনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের এ জি এম কম বলেন সব এলকায় বিদ্যুতের সমস্যাা এক সাইড বন্ধ রেখে অন্য দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হয় আমি সন্ধায় সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করবো।
বিভিন্ন তথ্য মতে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার দু’দিন আগে ২০০৯ সালের ৩ জানুয়ারি সান্ধ্যকালীন পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ৮৬০ মেগাওয়াট। পরে বিদ্যুতের সফলতার কারণে দেশে লোডশোডিং অনেকটাই কমে যায় কিন্তু বর্তমানে তা আবারও বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের চিত্র হচ্ছে বানরের তৈলাক্ত বাঁশে ওঠার মতো বলে মনে হচ্ছে। একদিকে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সীমিত বিদ্যুৎ যোগ হলেও অন্যদিকে পুরনো কেন্দ্র বন্ধ হয়ে সার্বিক উৎপাদন আগের জায়গায়ই থেকে যাচ্ছে। কখনো কখনো দু’বছর আগের চেয়েও কম বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিস সুত্রে জানাযায়, মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার গ্রাম গুলিতে মোট বিদ্যুতের চাহিদা ৫৭ মেগাওয়াট ও কিন্তু সেখানে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় ২৬ থেকে ২৭ মেগাওয়াট মত। ফলে মেহেরপুর জেলার পল্লী গুলোতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দিন-রাতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে খুব অল্প সময়ের জন্য।
গাংনী পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের সাবেক প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান জানান, মানুষ ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া ও নামাজের সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাই। লোডশেডিং এর কারণে ছাত্র ছাত্রীদের লেখা পড়া প্রায় বন্ধের পথে। গতকাল শুক্রবার সন্ধা ৭ থেকে সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে রাত ১২টার সময় বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। এভাবে চলতে পারেনা। বিদ্যুৎ এর কারণে জনগন যদি ক্ষেপে যায় তবে এর দায়ভার কেউ নিবে না। তিনি অনন্ত সন্ধা থেকে রাত ১১টা প্রর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দাবি করেন।
গাংনী উপজেলার গোপাল নগর গ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, ডিজিএম ফকর উদ্দীন সাহেব নামাজ ও বাচ্ছাদের লেখা পড়ার সময় বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য তার প্রতি অনুরোধ করেন ।
গাংনী পৌরসভার সাবেক কমিশনার আলী আজগর বলেন, দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে আর বাচ্ছাদের লেখা পাড়ার সময় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেন আপনি সরকারের সুনাম নষ্ট করতে পারেন না।
এব্যাপারে মেহেরপুর গাংনী পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজি এম ফকর উদ্দীন জানান, গাংনী জোনাল অফিসে বিদ্যুতের চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট সেখানে পাচ্ছি মাত্র ৭ মেগাওয়াট যার কারণে ২ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এক গ্রাম বন্ধ রেখে অন্য দিকে সংযোগ দিতে হয়। এ সমস্য গাংনী সারা দেশের সমস্য গাংনীতে বিদ্যুতের যে পরিমান চাহিদা পাচ্ছি তার অর্ধেকেরও কম। তাই বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেনি ।
জানতে চাইলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ মেহেরপুর বলেন, বিদ্যুতের সাব স্টেশন চুয়াডাঙ্গা থেকে পরিচালিত হয়।এখানে মেহেরপুর- গাংনী অফিসের কোন হাত নাই।তবে ছাত্র ছাত্রীদের লেখা পড়ার সময় বিদ্যুত দেওয়ার জন্য বলা হবে।