গাংনীতে রাস্তা নির্মানে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ। পানি জমে থাকায় দূর্ভোগে এলাকাবাসি।
এম এ লিংকন,মেহেরপুর : মেহেরপুরের গাংনীর তেরাইল-করমদী সড়ক নির্মান বন্ধ থাকায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে এলাকাবসি। রাস্তায় মাটি কাটা হলেও বালি দিয়ে ভর্তি না করায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা নির্মানকাজ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে অন্তত ৫ টি গ্রামের মানুষ। এ নিয়ে এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তেরাইল-করমদী সড়কের চেয়ারম্যান পাড়া এলাকায় ৬০ লক্ষ ব্যায়ে ১ কিঃ মিঃ রাস্তা নির্মানের ঠিকাদারীর কাজ পায় বালিয়াঘাট গ্রামের পিন্টু।
স্থানীয়রা জানান,প্রায় দেড়মাস পূর্বে ঠিকাদার রাস্তা নির্মানের জন্য খোঁড়াখুড়ির শুরু করলেও বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় পানি জমে থাকায় মানুষ চলাচল করতে পারছেনা। এ এলাকার হাজার হাজার মানুষ দূর্ভোগে পড়েছে। ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারছেনা। ১ কিঃমিঃ রাস্তার কারনে অন্তত ৩ কিঃমিঃ পথ ঘুরে করমদী ও ভরাট সহ অন্য গ্রামে যেতে হচ্ছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পন্য বাজারের সরবরাহ করতে পারছেনা। যানবাহন চলতে না পারার কারনে রুগী ও তাদের স্বজনরা বিপাকে পড়ে।
ঠিকাদার পিন্টু জানান,বামুন্দী ইউপি চেয়ারম্যান ও তেরাইল গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস রাস্তার কাজ করতে দিচ্ছেনা একারনে কাজ বন্ধ রয়েছে।
বামুন্দী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন,রাস্তায় বর্তমানে কাঁদা ও পানি থাকলেও সেগুলো অপসারন না করেই নি¤œ মানের সামগ্রী দিয়ে ভরাটের চেষ্টা করছিলো। একারনে এলাকাবাসি ক্ষুদ্ধ হয়ে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়। ঠিকাদার নিয়ম মেনে কাজ করতে চাইলে তাকে সহযোগীতা করা হবে।
মেহেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আজিম উদ্দীন সর্দ্দার বলেন,বর্ষার সময় রাস্তার কাজ করার কোন নিয়ম নেই। ঠিকাদার নিয়ম ভেঙ্গে খোঁড়াখুড়ির কাজ করেছে। একারনে মানুষেষ চলাচলে প্রতিবন্ধতকার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ঠিকাদার ঐ এলাকার মানুষের নিরাপত্তা বিঘœ করেছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তবে সকলে সহযোগীতা করলে যে কোন সময় কাজ শুরু হবে এবং সাধারন মানুষের দূর্ভোগ লাঘব হবে।