প্রতিবন্ধীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, ধাপেরহাট ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগঃ
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ লুৎফর রহমান :
আমি গরিব মানুষ বাহে। বাপের বাড়িতে যায়া মায়ের মুরগি বেচা ১৫ শত টেকা নিয়া আসিয়া হামিদ মেম্বর কে দিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পানুম না। এখন টাকা চাইতে গেলে ঐ হামিদ মেম্বর মোকে গালি গালাজ করে ভাগে দেয় কথাগুলো বললেন শারিরিক প্রতিবন্ধী সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট গোবিন্দপুর গ্রামের শামিম মিয়ার স্ত্রী দু সন্তানের মা আদুরী বেগম-২৬। তিনি এ ব্যাপারে সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দেখা করে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানা যায়। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তিনি অভিযোগ পাননি। ভুক্তভোগী আদুরী বেগম গত ১ বছর পূর্বে ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আঃ হামিদ প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র এনে দিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা করে দিবেন বলে ১৫ শত টাকা গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ১ বছর পর আবারও ঐ প্রতিবন্ধী আদুরী বেগম এর নিকট ইউপি সদস্য আঃ হামিদ ১ হাজার টাকার দাবি করেন। তখন প্রতিবন্ধী আদুরী বেগম বলে আমি টাকা দিতে পারব না এবং পূর্বে দেওয়া ১৫০০ টাকা ফেরৎ চান। তখন ইউপি সদস্য আঃ হামিদ তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বিদায় করে দেন। আদুরী বেগমকে দিন মজুর গরিব অসহায় স্বামীর স্ত্রী প্রতিবন্ধী আদুরী বেগম ইউপি সদস্যকে যে টাকা ১৫০০ শত দিয়ে ছিলেন সে টাকা টা তার মায়ের বাড়ী থেকে তার মুরগী বিক্রি করে টাকা গুলো এনে দিয়েছিল এ ব্যাপারে ঐ সদস্য এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং প্রয়োজনে আদুরী বেগম এর ফেরৎ দিতে চেয়েছেন পরে ইউপি সদস্য আঃ হামিদ আদুরী বেগম এর বাড়ী গিয়ে তাকে ১০০০ হাজার টাকা ফেরৎ দিয়ে দিলেন বিষয়টি আদুরী বেগম চ্যানেল ৪ এর প্রতিনিধির কাছে জানিয়েছে। এখানেই শেষ নয় আর যেন কোন প্রতিবন্ধীকে এমন না হতে হয়। এ ব্যাপারে প্রতিটি উপজেলা কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করি আমরা চ্যানেল ৪ এর পরিবার।