প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের মানববন্ধন
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া আলাদা অনুষ্ঠানে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির দেয়া বিভিন্ন মন্তব্যেরও তীব্র সমালোচনা করেন আওয়ামী নেতারা।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে সংসদকে কটাক্ষ করা হয়েছে আবারও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পৃথক পৃথক মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় এ দাবি জানান আওয়ামী নেতারা।
তারা বলেন, বিএনপি প্রধান বিচারপতির ঘাড়ে ভর করে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, 'এই মামলায় যারা পক্ষ নয় তাদের প্রতি বিরাগের বশবর্তী হয়ে আপনি তাদেরকে পক্ষ বানিয়েছেন। আপনি শপথ ভঙ্গ করেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আপনি রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করেছেন কিনা সেটিও আজকে চিন্তার বিষয়। সুতরাং আপনি পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। বিএনপির নিজের কোন রাজনীতি নাই। সিনহা বাবুর ঘাড়ে বসে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।'
এছাড়া হানিফ বলেন, 'আপনাকে মনে রাখতে হবে, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত এই সংসদ। এই সংসদ সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি। আর সেই রাষ্ট্রপতির দ্বারা নিয়োগকৃত বিচারপতি আপনি। যদি সংসদ সদস্যরা অযোগ্য হয়, অপরিপক্ব হয় তাদের দ্বারা নির্বাচিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি তিনিও অযোগ্য বা অপরিপক্ব। আর উনার নিয়োগকৃত প্রধান বিচারপতি, আপনাকেও অপরিপক্বই ভাবছে জনগণ।'
বিকেলে রাজধানীতে পৃথক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে রায়ের পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
এদিকে আমির হোসেন আমু বলেন, এদেশের সমস্ত নাগরিক বঙ্গবন্ধুর পিছনে ছিল বলেই এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই সুপ্রিম কোর্ট হয়েছে। আর সুপ্রিম কোর্ট হয়েছে বলেই আপনি প্রধান বিচারপতি হয়েছেন। সেই সুযোগ নিয়ে আপনি কোর্টকে অবমাননা করেছেন। প্রধান বিচারপতি আপনি বিচারপতি। আপনি বিচার নিয়ে কথা বলতে পারেন। কিন্তু যেগুলো বাংলাদেশের সংবিধানের বিপক্ষে যায় তা নিয়ে আপনি কথা বলতে পারেন না।
এছাড়া তোফায়েল আহমেদ বলেন, মাননীয় বিচারপতি আপনাকে আমি শ্রদ্ধা করি। আপনি এই পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহার করুন। এটা জাতি গ্রহণ করে নাই। জাতি আপনাকে ভুল বুঝেছে। গতকাল পাকিস্তানের কথা বলে মানুষ আরও ভুল বুঝেছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা অভিযোগ করেন, বিএনপি আন্দোলনের কোন সূত্র না পেয়ে এখন এখন ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে