ফুল ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের ঘটনায় বিচারিক হাকিম অপসারণে ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম
মেহেরপুরে জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম (সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) মোঃ ছানাউল্ল্যাহ কতৃক ফুল ব্যবসায়ী টুটুল হোসেনকে শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে এক ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করছে ব্যবসায়রী। আজ সকাল ১০ টা থেকে দোকানপাট বন্ধ রেখে ১১ টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরে মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানব বন্ধন থেকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিচারককে অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়েছেন ব্যবসায়ী সমিতি নেতৃবৃন্দ।
মেহেরপুর বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান দিপু মানব বন্ধনে বলেন, অন্যায়ভাবে ফুল ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে এ কর্মসূচী। সুষ্ঠু সমাধান না হলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে। আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই বিচারকের অপসারণ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসুচী ঘোষণা করা হবে। মানব বন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল, ব্যবসায়ী সমিতি নেতা আসাদুল আলম খোকনসহ ব্যবসায়ী সমিতি নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ ব্যবসায়ীবৃন্দ।
আহত ফুল ব্যবসায়ীর দোকান কর্মচারী রানা হামিদ বলেন, মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে জোষ্ট্য বিচারিক হাকিম মোঃ ছানাউল্ল্যাহ পিয়ন দোকানে এসে ককশিটে বিবাহ বার্ষিকীর লেখার জন্য বলেন। আমি দর হিসেবে ১৫০ টাকা দাবি করি এবং বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগবে বলে জানাই। এরই মধ্যে দোকানে পৌঁছান টুটুল ভাই। দরদাম নিয়ে ওই পিয়ন বলে যে, তোর বাপ আসলে ঠিকই কম নিবি। বাপ কে জানতে চাইলে বিচারিক হাকিম মোঃ ছানাউল্ল্যাহ নাম বলেন। তাঁকে মেহেরপুর জেলার সবই ভয় পাই বলেও হুমকি দেন ওই পিয়ন। এক পর্যায়ে তিনি মোবাইলে কল দিয়ে সম্ভবত স্যারের সঙ্গে কথা বলে ফিরে যান। এর কিছু সময় পর সদর থানা পুলিশে একটি দল দোকান থেকে টুটুলকে পুলিশ গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। আদালতে নিয়ে গিয়ে নিজ কার্যালয়ে টুটুলকে মারধর করেন।
বিকেলেই তাকে আহত অবস্থায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সন্ধ্যায় বিচারক ফুল ব্যবসীকে দেখতে হাসপাতালে গেলে ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে পড়েন। নির্যাতনের প্রতিবাদ ও বিচারকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে কর্মসুচী ঘোষণা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা।