গাংনীতে জমে উঠেছে কোরবানীর হাট
আল-আমীন,সিনিয়র স্টাফ রিপোটার ঃ
গাংনী উপজেলার পশু হাটগুলোতে বিপুল সংখ্যক দেশীয় গরু-ছাগলের আমদানি হচ্ছে। জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিনই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ী পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েক বছরের চেয়ে এবারে যেমন বেড়েছে পশুর আমদানি, তেমনী দামও রয়েছে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই।
মেহেরপুর পৌর পশু হাট ও বামন্দী-নিশিপুর পশু হাটে সপ্তাহের দুই দিন চলে বেচা কেনা। হাট দু’টিতে এলাকার বিপুল সংখ্যক গরু-ছাগল আমদানি হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। এলাকার ব্যবসায়ী ও কোরবানি দিতে ইচ্ছুক ক্রেতাদের পাশাপাশি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা ভিড় করছেন পশু হাটে। ২০ হাজার থেকে শুরু করে দেড় লক্ষাধিক টাকার গরু কেনাবেচা হচ্ছে। দাম কম হওয়ায় খামারী ও গরু পালনকারীরা কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও ক্রেতাদের মাঝে রয়েছে স্বস্তি। তবে সাধ্যের মধ্যে গরু-ছাগল কিনেে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন ক্রেতারা।
বামন্দী-নিশিপুর পশুহাটের গরু ব্যবসায়ি হযরত আলী জানান, হাটে যে পরিমাণ পশু আমদানি হচ্ছে সেই পরিমাণ বেচাকেনা হচ্ছে না। আরো দাম কমার অপেক্ষায় কোরবান দিতে ইচ্ছুক অনেক ক্রেতা অপেক্ষা করছেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপকভাবে গরু-ছাগল নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। এতে স্থানীয় বাজারগুলোতে বেচাকেনা বাড়ার আশা করছেন বিক্রেতারা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিপুল সংখ্যক গরু-ছাগল ক্রয় করেছেন। এখন ভাল দামে বিক্রির অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তবে শেষ মুর্হূতে ভারতীয় গরু আমদানি হলে গত তিন বছরের মত এবারো বড় ধরণের লোকসানের আশংকা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।
গরু মাংসের দাম বৃদ্ধিতে এ উপজেলায় এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৪ হাজার গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। ভারতীয় গরু আমদানি না হলে দেশে গরুর সংকট সৃষ্টি হবে এমন আশংকা তাড়া করলেও স্থানীয় বাজারের আমদানি সে সংশয় দুর হয়েছে। তবে গো-খাদ্যের যে পরিমাণ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সে তুলনায় কম দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান খামারী ও গরু পালনকারীরা।
গরুর খামারী কুঞ্জনগর গ্রামের শফি জানান, গো-খাদ্যের দাম আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে পশুর দাম বৃদ্ধি না পাওয়ায় অনেকেই পুঁজি হারাবে। আবার শেষ মূহুর্তে যদি ভারতীয় গরু আসে তাহলে অনেকেই পশু পালন ছেড়ে দিবে।
হাট ইজারাদার কামাল হোসেন জানান, মেহেরপুরসহ এ অঞ্চলে গরু করিডোর বন্ধ থাকলেও অন্যান্য স্থান দিয়ে ভারত থেকে গরু আমদানি হচ্ছে। তাই কম দামে গরু ক্রয়ের আশায় অনেকেই এখনো অপেক্ষায় রয়েছেন। ফলে হাটগুলোতে আশানুরুপ কেনাবেচা হচ্ছে না। এদিকে হাটে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন ও জাল টাকা সনাক্ত করার জন্য মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।