গাংনীতে সাপে কেটে ১০ জনের মৃত্যু। আহত ২০। ব্যবস্থা না নেওয়ায় সমালোচনার মুখে জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর
আল-আমীন,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরের গাংনীতে সাপের কামড়ে গত কয়েক দিনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অরো অন্তত ২০ জন। সাপেকাটা রুগীরা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। দ্রত সময়ের মধ্যে সাপেকাটা রুগীরা চিৎিসা না পেয়ে মৃত্যু’র কোলে ডোলে পড়ছে। সাপেকাটা রুগী ও স্থানীয়দের সচেতনতা মুলক কোন প্রচার প্রচারনাই করেনী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে সনাতন পদ্ধতিতে স্থানীয় কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে একেরপর এক প্রান হারাচ্ছেন রুগীরা। সাপেকাটা রুগীর সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় গাংনীতে রাতারাতি গজিয়ে উঠেছেন কথিত কবিরাজ। এসব কবিরাজের দৌরাত্ব বৃদ্ধি পেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেনা প্রশাসন। সাপেকাটা রুগীদের যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার সাপের কামড়ে গাংনী পৌর এলাকার পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের মৃত আহম্মদ মন্ডলের ছেলে মাংশ ব্যবসায়ী নুর ইসলাম (৫৮) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। গত ২৮ আগষ্ট সোমবার সকাল ১০ টার দিকে সাপের কামড়ে গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামের বজলুল হক বজুর ছেলে সুজন আলী (২৮) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ২৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার দিকে সাপের কামড়ে উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের রচনা হালদার (২০) নামের এক নববধু’র মৃত্যু হয়েছে। রচনা হালদার চেংগাড়া গ্রামের স্বপন হালদারের স্ত্রী। ১৮ আগষ্ট শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের বেড় গ্রামে সাপের কামড়ে শফিকুল ইসলাম (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়। শফিকুল বেড় গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ও বেড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র। ৯ আগষ্ট মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার সময় সাপের কামড়ে গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামে উজ্জল হোসেন (১০) নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। উজ্জল ধানখোলা উত্তরপাড়ার ফরজ আলীর ছেলে ও স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। ৩রা আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সাপের কামড়ে গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের কসবা গ্রামের খাদিজা খাতুন (৫০) নামের এক ভিক্ষুকের মৃত্যু হয়েছে। খাদিজা খাতুন কসবা গ্রামের আব্দুল মোমিনের স্ত্রী। এছাড়া যশোর জেলা শহর থেকে গাংনীতে বেড়াতে আসা এক নারী সাপের কামুড়ে মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা: জিকেএম সামছুজ্জামান জানান,সাপে কেটে এত মৃত্যু’র বিষয়টি তার জানা নেই। তবে সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হবে। মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ জানান,সাপে কেটে মৃত্যু’র ঘটনা দুঃখ জনক। সাপেকেটে মৃত্যু’র ঘটনা আর যেন না ঘটে এজন্য রুগীর প্রয়োজনীয় সকল ওষধ দ্রত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া এ বিষয়ে তিনি সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে সচেতনা বিষয়ে প্রচার প্রচারনার উদ্যোগ নেবেন।