মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির শিকার মেধাবি ছাত্র কিরণ
মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজারের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সমাজ সেবক মহিবুল ইসলাম পলাশের ছেলে মেধাবি ছাত্র রাকিবুল ইসলাম কিরণের বিরুদ্ধে শ্লিলতা হানির মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঐ ছাত্র সহ তার বাবা। ঐ মেধাবি ছাত্রের বাবা মহিবুল ইসলাম পলাশ একাধারে মেহেরপুর চেম্বার্স অব কমার্সের নির্বাহি সদস্য, বামন্দী বাজার জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বামন্দী বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন বলে জানা যায়। তিনি জানান এলাকার একটি কুচক্রি মহল আমার ও আমার পরিবারকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে আমার ছেলে রাকিবুল ইসলাম কিরণ এর নামে আপত্তি কর মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তিনি আরো জানান, আমার ছেলে কিরণ ঢাকা ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটির বিবিএ’র মেধাবি ছাত্র। এধরণের মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকেই শুধু সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছেনা বরং আমার ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতও নষ্ট করা হচ্ছে। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে মেধাবি ছাত্র বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি মেয়ের দেহো ভোগ করেছে। এ বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি পুরোপুরি সাজানো নাটক। যে ছেলে (রাকিবুল ইসলাম কিরণ) ঢাকাতে থেকে কৃতিত্বের সাথে লেখা পড়া করে আসছে এবং অধিকাংশ সময় সে ঢাকাতেই লেখা পড়ায় ব্যাস্ত থাকে সে ছেলে কীভাবে বামন্দীতে এসে একটি মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিতে পারে। এ বিষয়ে ছেলের বাবা মহিবুল ইসলাম পলাশ বলেন যে মেয়ে আমার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহলে অপ প্রচার চালিয়ে বেড়াচ্ছে সেই মেয়ের চরিত্র আসলে কেমন সেটা সমাজের সকলে জানে। তিনি আরো জানান, মেয়ের মা হঠাৎ করে একদিন আমার সম্মান জিম্মি করে হুমকি দিয়ে কিছু টাকা দাবি করে। আমি তার দাবি অগ্রাহ্য করি। এর পর থেকেই ঐ মেয়ের মা আমার ছেলেকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা করে আসছে। এদিকে মেধাবি ছাত্র রাকিবুল ইসলাম কিরণ সাংবাদিকদের জানান, যে বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। ঢাকাতে লেখা পড়া নিয়ে ব্যাস্ত থাকি এ ধরণের খবরে আমি হতাশ মর্মাহত। এদিকে অভিযোগ কারি মেয়ের সাথে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান আমার সাথে তার ফেসবুকে পরিচয় হয়েছে তাতে সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমাকে বিয়ে না করলে অন্য পথ অবলম্বন করতে বাধ্য হবো। গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।