ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারন দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা
প্রতিনিধি: নওগাঁর উপজেলার আকবরপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ত্রান, প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনসহ তার অপসারন দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। শনিবার বিকালে ঘন্টাব্যাপি ওই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন ইউনিয়ন পরিষদের ৯সদস্য ও এলাকাবাসি।
অভিযোগসূত্রে জানা, নির্বাচনের পর থেকে চেয়ারম্যান লাগামহীন ভাবে কোন কিছুকেই তোয়াক্কা না করে এই ইউনিয়ন পরিষদকে নিজের অনৈতিক কর্মকান্ডের আখড়ায় পরিনত করেছে। তিনি টিআর প্রকল্প, এডিপি প্রকল্প ও ওয়ান পার্সেন্টের সভাপতি। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কাউকে না জানিয়ে এই সব প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি ইউনিয়নের এ্যাম্বুলেন্স পরিষদ ও এলাকাবাসীর কোন কাজে না লাগিয়ে ভাড়া চালিয়ে সেই অর্থ আত্মসাৎ করছেন। তিনি ট্রেডলাইসেন্স, চৌকিদারী ট্যাক্স, রিক্সা ভ্যানের প্লেড কার্ডের অর্থ পরিষদের কোন সদস্যকে না জানিয়ে নিজেই সব কিছু আত্মসাৎ করছেন। তিনি দিনে দুপুরে পরিষদের মধ্যে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত। পরিসদের একটি কক্ষে নিজের বন্ধুদের নিয়ে নেশাদ্রব্য সেবন করেন। এমনকি বাহিরের মেয়ে নিয়ে এসে চেয়ারম্যান ও তার বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেয় ঘন্টার পর ঘন্টা। পরিষদের কোন কাজই তিনি নিয়ম মাফিক সম্পন্ন করেন না। এলাকার মানুষদের কারণে-অকারনে হয়রানি করেন। চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদকে নিজের গড়া দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন। অতিদ্রুত এলাকাবাসী এই অত্যাচারি ও দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের হাত থেকে এলাকাবাসী ও পরিষদের সকল সদস্যরা মুক্তি পেতে চান।
ইউপির সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যা নিলুফা ইয়াসমিন, শওকত আরা বলেন, এই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট । এই পরিষদ যেন চেয়ারম্যানের বাপ-দাদার সম্পত্তি। নিজের ইচ্ছে মাফিক তিনি সব কিছু করে যাচ্ছেন। আমরা এই পরিষদে মূল্যহীন। তিনি সম্প্রতি পরিষদের জন্য আইপিএস কেনার নাম করে জেনারেটর বিক্রয় করে তার অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একাধিকবার এই সব দুর্নীতির অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি।
সদস্য আবু সাইদ বলেন আমরা ইউনিয়নের পরিষদের সকল সদস্যরা এই দুর্নীতিবাজ, অসৎ ও মাদকাসক্ত চেয়ারম্যানের অপসারন চাই। তার এই সব অপকর্মের বিরুদ্ধে আমরা হাজার অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না। তার এই সব অপকর্মের কারণে পরিষদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন এলাকাবাসীরা। তারা আর কোন কাজে সহজে পরিষদে আসতে চায় না। আস্তে আস্তে পরিষদটি জনগনের কাছ থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়ছে। আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় হুইপকেও বিষয়টি অবগত করেছি।
চেয়ারম্যান মো: কামাল হোসেন জানান, তাকে সামাজিক ভাবে হেয় পতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে কিছু কুচক্রী লোক আমার বিরুদ্ধে এই ধরণের অপবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। হয়তো বা আমি সেই সব ব্যক্তিদের স্বার্থ উদ্ধারের পথে বাধা হয়ে দাড়িয়েছি তাই তারা আমার পেছনে লেগেছে।
পতœীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আব্দুল মালেক জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।