সৈয়দপুর কাজ না করে কাবিখা প্রকল্পের টাকা উত্তোলন
শাহ মো: জিয়াউর রহমান,নীলফামারী
নীলফামারীর সৈয়দপুরে কোন কাজ না করে কাবিখা প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে খেয়েছে প্রকল্প কমিটি। ঘটনাটি ঘটেছে কামারপুকুর ইউপিতে।
সূত্রে জানা যায়, কামারপুকুর ইউনিয়নে ২০১৬/১৭ অর্থ বছরে সংস্কার ও সোলার দুটি প্রকল্পের ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৬৫ টাকা বরাদ্দ হয়। এর মধ্যে সংস্কার প্রকল্পটি ছিল ১ লক্ষ ৮৪ টাকা ১৮৩ টাকা। প্রকল্পটি ৪নং ওয়ার্ডের বাকডোকরা পাড়ার ওয়াহেদের বাড়ীর সামন হয়ে চান্দের ডিঙ্গার উপর হয়ে নতুন ত্রানের ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট। প্রকল্পটির চেয়ারম্যান কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান। কিন্তু পরে অজ্ঞাত কারণে তার নাম পরিবর্তন করে ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সিদ্দিকা বেগমকে প্রকল্পের চেয়ারম্যান করা হয়। প্রকল্পের নিয়ম রয়েছে প্রকল্প দাখিলের পর একটি বিল উত্তোলন হবে এর পর কাজ চলতি অবস্থায় ২য় বিল উত্তোলন হবে। কাজ শেষে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা যাচাই বাচাই শেষে ৩য় বিল উত্তোলন হবে। কাজটি জুন মাসে শেষ হবে কিন্তু এখানে হয়েছে উল্টো বিল ঠিকই হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি। প্রকল্পের কথা এলাকাবাসীসহ কেউ জানে না। উক্ত টাকা উত্তোলন করে আতœসাত করা হয়েছে। প্রকল্পের ঘটনাটি ৩/৪ মাস পর জানাজানি হলে অবস্থা বেগতিক দেখে কামারপুকুর ইউপির চেয়ারম্যান কয়েকদিন আগে কাজ শুরু করে দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাটি ভরাট না করে রাস্তা সলিং করা হচ্ছে। এক কথায় রাস্তার ঘাস ছিলে ড্রেসিং করা হচ্ছে। এ নিয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ওই রাস্তায় একটি পক্ষ সিডিউল মোতাবেক কাজ দাবী করে এবং একটি পক্ষ প্রকল্প কমিটির পক্ষে দাড়ায়। এ নিয়ে চলে দু’পক্ষের কোদাল ছুড়া ছুড়ি। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারমুখি অবস্থার সৃষ্টি হয়। ঘটনা শুনে ওই স্থানে উপস্থিত হন কামারপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সোনার। তিনি কাজের সর্দারের কাছে ওয়ার্কসিট দেখতে চাইলে সর্দার তা দেখাতে না পারলে ঘটনাস্থলে সবাইকে সোনার শান্ত হতে বলে। এ নিয়ে গন্ডগোল না করে বসে আলোচনা করে কাজ করার কথা বলে তিনি। সে অনুযায়ী ওই দিন কাজ বন্ধ ছিল। এখন পর্যন্ত কাজ বন্ধ রয়েছে। এদিকে উল্টো রফিকুল সোনারকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে সরকারী কাজে বাধা দিয়েছেন কেন। তিনি সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে উল্টো ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। এলাকাবাসীসহ সচেতন মহলের দাবী কাজ না করে কিভাবে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে খেল। এটা তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি হওয়া দরকার। কামারপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সোনার বলেন, প্রকল্পটি ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজ না করে টাকা উত্তোলন করে খেয়েছে প্রকল্প কমিটি। ঘটনা শুনে আমি উপস্থিত হয়ে দু পক্ষকে শান্ত করেছি। আলোচনার মাধ্যমে কাজ করতে বলেছি। কিন্তু কতিপয় দালাল আমাকে ফোনে হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প চেয়ারম্যান সিদ্দিকা বেগম ও ওই প্রকল্পের সদস্য ও ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা তিনি ব্যস্ত আছি পরে কথা বলবো বলে জানান।
সৈয়দপুর উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখ্খারুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসির্ভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।