নিষেধাজ্ঞা, তবুও বিশখালীতে চলছে মা ইলিশ নিধনের মহা উৎসব।
মোঃমোছাদ্দেক বিল্লাহ(বিষেশ প্রতিবেদক)
মা ইলিশ রক্ষা পেলে, দেশে প্রচুর ইলিশ মেলে। এই স্লোগান যেন শুরু লিফলেট, ব্যানার আর আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ।
দেশে এখন চলছে ইলিশের প্রজনন মৌসুম। সরকারিভাবে এ সময় ইলিশ নিধন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিশখালী নদীতে ইলিশ মাছের বিচরণ আছে, সেখানে চলছে অবাধে এ মাছ শিকার। মৎস্য কার্যালয় থেকে অভিযান চালানো হলেও তা খুব একটা কার্যকর প্রভাব ফেলতে পারছে না। ১লা অক্টোবর থেকে ২২শে অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ সময় ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকলে বিশখালীতে চলছে মা ইলিশ নিধনের মহা উৎসব। থেমে নেই যুবক, বৃদ্ধ ও শিশু-কিশোররাও। সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নেমে পড়েছে মা ইলিশ ধরার উৎসবে। অজ্ঞাত কারণে সকলে নীরব হয়ে আছে। এলাকার নদ-নদীতে বেশ কিছুদিন থেকে ডিমওয়ালা ইলিশের ঝাঁক ধরা পড়ায় আসন্ন মূল প্রজনন মৌসুমে জাতীয় এ মাছের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলেন মন্তব্য করছেন সচেতন মহল। কিন্তু সরকারি আদেশ অমান্য করে কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় বিশখালীর বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে মা-ইলিশ নিধনের মহা-উৎসব। বড় ইলিশের সঙ্গে বাদ পড়ছে না ছোট আকারের জাটকাও। বিশখালী নদী এখন যেন ইলিশ শিকারির দখলে। নদীতে তাকালেই নজর পড়ছে ইলিশ ধরার নৌকা। নদীর পাড়ে প্রকাশ্যে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে ইলিশ। উপজেলা র্নিবার্হী অফিসার ডাঃ শরীফ ফায়জুল আলমের তাৎপড়তা থাকলেও। উপজেলা মসৎ বিভাগের সে রকম কোনো তাৎপড়তা না থাকায়। জেলে, মাঝি এবং জনগণ সবাই ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়ের মেতে উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিমত, ইলিশ প্রজনন রক্ষা অভিযান তো নয়, এ যেন ইলিশ নিধন, বিক্রি, সংগ্রহ এবং কম দামে ইলিশ খাওয়ার উৎসব।প্রশাসন কিংবা মৎস্য দপ্তরের অভিযান যথাসময় পারিচালিত না হওয়ায় সমূলে ইলিশ ধ্বংসযজ্ঞের মহড়া বেশি হচ্ছে। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না মা ইলিশ নিধন। বিশখালীতে যে হারে ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ আহরণ হচ্ছে, আগামী ভরা মওসুমে ইলিশ উৎপাদনে এ বছরের চেয়েও আরো খারাপ পরিস্থিতি হবে। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেরই অভিযোগ, কিছু রাজনৈতিক লোকজন গোপনে ভয়ভিতি দেখিয়ে জেলেদের মাছ আটক করে নিয়ে যায়। কিন্তু যারা মাছ বিক্রি এবং আড়তদারি করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয় উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমাদের অভিযান বহাল আছে, এর মধ্য আমরা প্রায় ১০ হাজার। মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেছি কিন্তু নিয়ামতি নৌ পুলিশের তেমন তাৎপরতা না থাকায়, আভিযান অনেকটা সফল হচ্ছে না।
নিয়ামতি নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন মানুষ জনের অভিযোগ শুধু পুলিশের উপর। আমরা চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি। এবং ইতিমধ্যে দু’জনকে আটকও করেছি, জাল নৌকা,জব্দও করছি তবে স্থানীয়রা জনগন সচেতন থাকলে আরো ভালো হবে।