মেহেরপুর ভ্যাট অফিসের কর্মচারী বহু অপকর্মের হোতা জয়নাল আবেদীনের অত্যাচারে জেলার ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট
এম এ লিংকন ,মেহেরপুর : মেহেরপুর কাস্টমস এক্্রসাইজ ও ভ্যাট অফিসের কর্মচারী পরিচয় দানকারী জয়নাল আবেদীনের অত্যাচারে জেলার ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। ভ্যাট অফিসের কর্মচারী পরিচয়দানকারী এই জয়নাল আবেদীনের অত্যাচার ভয়ভীতি ও হুমকীতে অনেক ব্যবসায়ী এখন তাদের ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জয়নাল আবেদীন কোন চাকুরী না করলেও শুধু ভ্যাট অফিসের কল্যাণে মেহেরপুর শহরের স্টেডিয়াম পাড়া এলাকায় গড়ে তুলেছেন বিশাল অট্রালিকা, রয়েছে বিলাশবহল গাড়ি ও ব্যাংক ব্যালেন্স।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, গাংনী বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, মেহেরপুর ভ্যাট অফিসের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে জয়নাল আবেদীন মোটা অংকের টাকা উৎকোচ দাবী করে থাকেন। তার দাবীকৃত উৎকোচ না দিলে ভ্যাট অফিসারকে দিয়ে মামলা করার হুমকী দিয়ে থাকেন। তারা আরো জানান, গাংনী উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা কয়েকটি মিষ্টির দোকান থেকে অবৈধভাবে টাকা দাবী করে না পেয়ে তাদের নানাভাবে হুমকী দিচ্ছেন তিনি। সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মিষ্টি ব্যবসায়ী শরীফুল ইসলামের কাছে টাকা দাবী করে। পরে বিষয়টি নিয়ে একজন সাংবাদিক তাকে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিককে হুমকী দেন। বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টীম তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসেন। পরে সেই সাংবাদিকের হাত পা ধরে মুক্তি পান জয়নাল আবেদীন।
ব্যবসায়ীরা আরো জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি জয়নাল আবেদীন জেলার বিভিন্ন স্থানে দোকানদের সাথে টাকা আদায়ে ব্যাস্ত থাকেন। এদিকে গাংনীর ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে ইটভাটা শুরু হওয়ার আগে থেকেই চলে থাকে দেন-দরবার। তবে এব্যাপারে মেহেরপুর এক্্রসাইজ, কাস্টমস ও ভ্যাট অফিসের পরিদর্শক হুমায়ন কবীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জয়নাল আবেদীন সরকারীভাবে নিয়োগ করা কর্মচারী নন। অফিসের পিওন হিসেবে স্থানীয়ভাবেই তাকে রাখা হয়েছে। জেলার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য নয়। যদি তিনি ভ্যাট অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন ধরনের অপকর্ম করে থাকেন তাহলে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে।
জয়নাল আবেদীনকে সরকারী অফিসের পিওন কিভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এটা বোঝাতে পারেননি এই পরিদর্শক।
এদিকে জয়নাল আবেদীনের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমি অফিসের কেউ না। তবে আমি অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়ে অফিসারদের সাথে সাথে ঘুরে বেড়াই। অফিসার যেখানে পাঠান সেখানেই গিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে আসি। কোন ব্যবসায়ী তার নামে অভিযোগ করেছেন সেসব ব্যবসায়ীদের নামও জানতে চান তিনি ।