অসময়ে দূদিনের অবিরাম বৃষ্টিতেই জয়পুরহাটের জনজীবন বিপর্যস্ত-ধানের জমি পানির নিচে-কৃষকের মাথায় হাত।
মো:নাহিদ আখতার:জেলা ব্যুারো প্রধান:জয়পুরহাট:- গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শনিবার-দূদিনের অসময়ে অবিরাম বৃষ্টিতে জয়পুরহাট শহরের জনজীবন যেমন বিপর্যস্থ-রাস্তাঘাটে অস্থায়ী ভাবে পানি জমা,অফিস-আদালত,স্কুল-কলেজগামী সহ সাধারন শ্রমিক ও দিনমজুররা পড়েছে বিপদে তেমনি জয়পুরহাট শহর ও গ্রামের কৃষকদের অবিরাম বৃষ্টি ও দমকা বাতাসের কারনে আমনের জমি পানিতে ডুবে ও ধানের গাছ পড়ে যাওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত।
আজ ২১ অক্টোবর (শনিবার):জয়পুরহাট শহরের প্রধান সড়ক, পাঁচবিবি সড়ক, জামালগন্জ সড়ক, বদর উদ্দিন সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক, হাজ্বী মাদ্রাসা সড়ক সহ এসব এলাকায় স্থায়ী-অস্থায়ী ভাবে বসবাসকারী বাসিন্দা,চাকুরিজীবি,ছাত্র-ছাত্
গত দূদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে জয়পুরহাট শহরের প্রধান সড়কে অস্থায়ীভাবে পানি জমে যাওয়ার কারনে স্কুল-কলেজ গামী ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ছে সমস্যায়,যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে সাথে অবিরাম বৃষ্টির কারনে ক্রেতা না থাকায় অনেক দোকান বন্ধ রেখেছে অনেক দোকানী।
এদিকে জামালগন্জ সড়ক, বঙ্গবন্ধু,বদর উদ্দিন, হাজ্বী মাদ্রাসা সড়ক সহ জয়পুরহাট পৌর এলাকার প্রায় সড়কে অস্থায়ী ভাবে পানি জমার কারনে এসব এলাকার ছাত্র-ছাত্রী, চাকুরিজীবি সহ বাসিন্দারা পড়েছে চরম বিপদে, তার উপর সড়কে পানি জমে থাকার কারনে যানবাহন বিশেষ করে রিক্সা চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারনে রিক্সাও তেমন চলছে না বলে জানালেন বঙ্গবন্ধু সড়কে বসবাস কারী মাহাবুব আলম, পরিচালক,মৌনবীনা, জয়পুরহাট,ফলে কাপড় ভিজিয়ে জুতা হাতে নিয়ে যেতে হচ্ছে অফিস-আদালতে সাথে ছাত্র-ছাত্রীরাও রিক্সা কম থাকায় অনেকেই বৃষ্টির পানিতে ভিজে স্কুল-কলেজে যেতে বাধ্য হচ্ছে যা বির্বতকর। তিনি আরো জানান অবিরাম বৃষ্টির কারনে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য যেমন-শাক-সবজ্বী,চাল,ডাল, লবন, তেলের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।
জয়পুরহাট কুলি শ্রমিক, রিক্সা শ্রমিক, দিনমজুর সহ প্রায় সব ধরনের শ্রমিকরা অবিরাম বৃষ্টির কারনে কাজ না থাকায় অলস দিন কাটাচ্ছে বলে জানালেন শহর কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের সেলিম হোসেন। ফলে অনেক শ্রমিকের পরিবারে একবেলা না খেয়ে থাকার কথাও জানালেন জেলা খাদ্যগুদাম শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা বাচ্চু সরদার।
এদিকে অবিরাম বৃষ্টি সাথে দমকা বাতাসের কারনে জয়পুরহাট শহর সহ আক্কেলপুর ও কালাই উপজেলার প্রায় ৮০% আমন ধানের জমির ধানগাছ বাতাসে পড়ে গিয়ে ও পানিতে তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মূখে পড়েছে এসব এলাকার কৃষকগন।
কালাই উপজেলার মোসলেমগন্জ এলাকার কৃষক আব্দুর রহীম জানান-মাত্র গত ২/৩ মাস আগেই ঢলের পানি ও বন্যার কারনে তার ১৩ বিঘা জমির বোরো ও বিআর-২৮ ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, এ বার সুূদের উপর টাকা নিয়ে তিনি ১৩ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছিলেন যার প্রায় ৮ বিঘার ধানগাছ গত দূদিনের অবিরাম বৃষ্টি ও বাতাসের কারনে নষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে আক্কেলপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ধানের জমির বেশীর ভাগই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেক জমির ধানগাছ বাতাসের কারনে পড়ে গেছে। এতে এসব এলাকার কৃষকগন চরম বিপদে পড়েছেন বলে জানান-আক্কেলপুর নিচা বাজারের কৃষক জমির উদ্দিন।
এ ব্যপারে জয়পুরহাট জেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে অফিস সুত্রে জানা যায় গত দূদিনের অবিরাম বৃষ্টির কারনে জয়পুরহাট জেলার কত হেক্টর জমির ধানগাছ নষ্ট হয়েছে তা অফিস বন্ধ থাকার কারনে এই মূর্হুতে সঠিক তথ্য দেওয়া যাচ্ছে না।
জয়পুরহাট বাসী ও কৃষকগনের মতে এ রকম অবিরাম বৃষ্টি যদি আর একদিন স্থায়ী হয় তাহলে ডুবে থাকা ধানগাছ সব নষ্ট হয়ে যাওয়ার সমভ্ব্যবনা আ