গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণে সম্পত্তি হস্তান্তরে সাব-রেজিষ্ট্রারের গড়িমসির অভিযোগ
মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্পত্তি হস্তান্তর নিয়ে গাংনী উপজেলা সাবরেজিষ্টার নানা গড়িমসি শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৩০/০৭/২০১৭ ইং তারিখে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি যার স্মারক নং ৭৩৯ তে জাতীয়করণের লক্ষ্যে মেহেরপুর জেলার মোট ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাতে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম অšতর্ভুক্ত আছে। সে হিসেবে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও একটি চিঠি আসে। সে মোতাবেক তারা কাজ করতে থাকে। পরে ৩৭০ স্মারকে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের উপসচিব আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় করণের লক্ষ্যে পূনরায় চিঠি প্রেরণ করে তাতে তালিকার মোট ৭৩ টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫১ নং ক্রমিকে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত আছে। স্মারকে আরো জানা যায় স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারিদের বেতন ভাতাদির তথ্য, প্রতিষ্ঠানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সকল প্রকার নিয়াগ ও সম্পত্তি হস্তান্তর কার্যক্রম বন্ধ রাখা। ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের নিকট হস্তান্তর করার নিমিত্তে
Deed of Gift (হস্তান্তর দলিল) সম্পাদন করে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন আরো জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম জাতীয়করণের তালিকা অনলাইনেও দেওয়া হয়েছে। গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনের সাথে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, জাতীয় করনের শর্ত মোতাবেক সরকারি নির্দেশে সব কাগজ পত্র আমরা প্রস্তুত করার পরও সাব রেজিষ্ট্রি কর্তৃপক্ষ নানান গড়িমসি করছে বলে আমি মনে করি। তিনি জানান আমরা সব কাগজ পত্র দেখানোর পরও গাংনী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস প্রথমে তারা একটি মিটিং এর মাধ্যমে মিমাংসা করে পরের সপ্তাহে রেজিষ্ট্রি হবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করে। কিন্তু অদ্যবধি তিনি আমাদের সম্পত্তি হস্তান্তরের কার্য সম্পন্ন করেন নাই। সর্ব শেষ গত বুধবার ১৮ অক্টোবরে সম্পত্তি হস্তান্তর করতে গেলে সাব রেজিষ্টার মোঃ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার পরের দিন আসতে বলে। তার কথা অনুযায়ি বৃহস্পতিবার অফিসে গেলে তাকে আর পাওয়া যায়নি বলে জানান প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন। কী কারণে তিনি অনুপস্থিৎ ছিলেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সেদিন তিনি ছুটি নিয়েছিলেন কিন্তু আমাদের জানানো হয়নি। এভাবে তিনি আমাদের বিভিন্ন সময় তালবাহানার মাধ্যমে জাতীয়করনে অযথা সময় নষ্ট করছেন বলে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন মনে করেন।